বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম চক্রী আমজাদকে নভেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। উত্তরপ্রদেশ থেকে আমজাদকে গ্রেফতার করে এনআইএ। আজ আদালতে এনআইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য আমজাদের কাজ ছিল আইইডি তৈরির জন্য রাসায়নিক সরবরাহ করা। বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডেও জড়িত আমজাদ। কোথা থেকে রাসায়নিক আসত, কোথায় তা সরবরাহ করা হত, এসব বিস্তারিত জানার জন্যই আমজাদকে জেরা করা প্রয়োজন বলে জানান এনআইএ আধিকারিকেরা।  


আমজাদকে কুড়ি দিনের জন্য তাদের হেফাজতে চায় এনআই এ। এরপরেই বিচারক বিশে নভেম্বর পর্যন্ত আমজাদের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেন।জানা গেছে, বীরভূমের বাসিন্দা আমজাদের জঙ্গি কার্যকলাপে হাতেখড়ি কৌসরের মাধ্যমে। অনুমোদনহীন মাদ্রাসায় অর্থসাহায্যের মাধ্যমে তার জঙ্গি যোগাযোগের সূত্রপাত। এরপরেই ধাপা ধাপে কৌসর, শাকিল ও জিয়াউল হকের মতো জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়।  কওসর-সাকিলের নির্দেশেই আইইডি তৈরির জন্য রাসায়নিক সরবরাহ করত আমজাদ।  আর্টস-এর ছাত্র হলেও তালিম নিয়ে ক্রমশ বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ হয়ে ওঠে সে।  শিক্ষাগত যোগ্যতায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকার কারণেই তাকে রাসায়নিক সরবরাহের কাজে বেছে নেয় কৌসর-সাকিলেরা। টাকা যোগাত কৌসর-সাকিল। সেই টাকায় রাসায়নিক সরবরাহ করতে আমজাদ। তবে কখনই নিজে রাসায়নিক বয়ে নিয়ে যেত না সে। শেক্সপিয়ার সরণির যে সংস্থায় কাজ করত আমজাদ, সেই সংস্থার ই মেলে অর্ডার দিতে রাসায়নিকের। অন্য কেউ এসে  নিয়ে যেত রাসায়নিক। বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে সে রাসায়নিক কিনত বলে জানা গেছে।