নিজস্ব প্রতিবেদন : মুকুন্দপুর আমরিতে আড়াই বছরের ঐত্রী দে-র মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ, ছোট্ট ঐত্রীর হার্টের কোনও অসুখ ছিলই না। অ্যালার্জি টেস্ট না করে অগমেন্টিনের ইন্ট্রাভেনাস ডোজই মৃত্যু ডেকে আনে। প্রবল  শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের ঐত্রীর। শিশুটির দুই ফুসফুস এবং হার্টে বিভিন্ন আকারের একাধিক হেমারেজের ছাপ মেলার কথাও উল্লেখ রয়েছে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানান, অগমেন্টিন ওষুধ দিতে হলে আগে খাইয়ে দেখে নিতে হয়, তাতে কোনও অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা। তারপর ইঞ্জেকশন দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু ঐত্রীকে প্রথমেই ইন্ট্রাভেনাস দেওয়া হয়েছিল। অগমেন্টিন সহ্য করতে পারেনি ছোট্ট ঐত্রী। অ্যালার্জিতে একের পর এক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। মৃত্যু হয় ঐত্রীর।


এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, ওই সময়ে অক্সিজেন পেলে পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা ভাল হতে পারত। কিন্তু অগমেন্টিন বন্ধ না করলে কোনও কাজই হত না। অথচ নিয়ম না মেনে, অ্যালার্জি টেস্ট না করেই বারবার অগমেন্টিন পুশ করে গেছে হাসপাতাল।


আরও পড়ুন, সিআইডি তল্লাসি ভারতী ঘোষ সহ ৭ অফিসারের বাড়িতে


মেয়ে ঐত্রীর মৃত্যুর পর মা শম্পা দে প্রথম থেকেই আঙুল তুলেছিলেন আমরির বিরুদ্ধে। যদিও প্রথম থেকেই গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল আমরি। বরং শিশুটির কোনও অসুখ লুকিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল কিনা, এমন  প্রশ্নও তুলেছিল তারা।