নিজস্ব প্রতিবেদন : আড়াই বছরের ঐত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও বিপাকে মুকুন্দপুর আমরি। সেদিন ঐত্রীকে যে নার্স ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, তিনি আদৌ নার্সিং পাশ করেছেন কিনা তা নিয়েই উঠল প্রশ্নচিহ্ন। শুক্রবার ঐত্রী মৃত্যু মামলায় স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানির সময়ই উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, কমিশনে শুনানি (ভিডিওগ্রাফি)-র সময় শ্রুতি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনী নামে ওই নার্স নিজে মুখেই স্বীকার করেন যে, তাঁর কোনও নার্সিং সার্টিফিকেট নেই। পরীক্ষা দেওয়ার পরই তিনি আমরিতে কাজে যোগ দেন। ফলে তিনি আদৌ নার্সিং পাশ করেছেন কিনা, সেটাই এবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এই তথ্য সামনে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঐত্রীর মা।


তবে একথা মানতে নারাজ আমরি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের দাবি, পাশ করেই আমরিতে কাজ করছেন ওই নার্স। এই মর্মে কমিশনে হলফনামাও দিয়েছে আমরি। তবে পরবর্তী শুনানির আগেই আমরিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।


অন্যদিকে, ঐত্রীর ভেন্টিলেশন চার্জ নিয়েও চাপে আমরি। তদন্তে উঠে আসে, ঐত্রীর পরিবারের কাছ থেকে ১২ ঘণ্টার ভেন্টিলেশন চার্জ নেওয়া হলেও, শিশুটিকে আদৌ ভেন্টিলেশন রাখাই হয়নি। এখন বেগতিক বুঝে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে চায় আমরি।


ঐত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছিল তাদের আড়াই বছরের সন্তানের। প্রথমে সেকথা অস্বীকার করে আমরি কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টে ফাঁস হয় আসল ঘটনা। রিপোর্টে বলা হয়, কোনওরকম অ্যালার্জি পরীক্ষা না করেই বার বার অগমেনটিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল ঐত্রীকে। আর তাতেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট ঐত্রী। আরও পড়ুন, ঐত্রীর মৃত্যু অস্বাভাবিক, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁস আমরির চূড়ান্ত গাফিলতি