অর্ণবাংশু নিয়োগী: ববিতা সরকার নয়, অনামিকা রায়ের পক্ষেই সওয়াল কমিশনের। বাড়তি ২ নম্বর প্রত্যাহার করা হলে চাকরি পাবে অনামিকা। ববিতার বদলে অনামিকার জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে। ববিতা নিজে আবেদনপত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোর ভুল লিখেছিলেন। আজ এই মর্মে হলফনামা জমা দিতে চলেছে কমিশন। সূত্রের খবর এমনই। প্রসঙ্গত, নম্বর বিভ্রাটের জেরে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকাররীর থেকে পাওয়া টাকা খরচ না করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি সামনে এসেছিল ববিতা সরকারের নামেই। তিনি দুর্নীতি মামলার চর্চিত নাম। আইনি লড়াইয়ের পর প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে সরিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি, পেয়েছিলেন ১৬ লক্ষ টাকাও। নম্বর-বিভ্রাটের জেরে এবার তাঁর চাকরিও প্রশ্নের মুখে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়ের দাবি, চাকরিটা তাঁর পাওনা ছিল। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ভুল তথ্যের জেরে নাকি চাকরি পেয়েছেন ববিতা। এই মর্মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের করেন অনামিকা। 


অন্যদিকে, ববিতা সরকার পালটা দাবি করেন, তাঁকে ভুলবশত ২ নম্বর অতিরিক্ত দিয়েছে এসএসসি। এই ভুল নম্বর দেওয়ার জন্য এসএসসির তরফের ব্যাখ্যা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা সরকারও। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি বিভিন্ন নথি নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে এসএসসি। সেই নথি দেখেই সন্দেহ প্রকাশ করেন ববিতা সরকার। যারপরই তিনিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অনামিকার আইনজীবীর দাবি, স্নাতকে শতাংশের হারে গড় ৫৫ নম্বর পেয়েছেন ববিতা। কিন্তু ববিতা আবেদনপত্রে ৬০ শতাংশ লিখেছেন। সে কারণেই অ্যাকাডেমিক স্কোরে বাড়তি ২ নম্বর পেয়েছেন। 


উল্লেখ্য গতবছর এসএসসি চেয়ারম্যান আদালতে জানান, ববিতা সরকারের সাবজেক্ট টেস্ট নম্বর ৩৬, অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ আর পার্সোনালিটি টেস্টে প্রাপ্ত নম্বর ০৮। সর্বমোট ৭৭। তারপরই আদালতের নির্দেশে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হয়ে সেই জায়গায় মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে নিয়োগ পান ববিতা সরকার। বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করছেন ববিতা। এখন অ্যাকাডেমিক স্কোরে বাড়তি ২ নম্বর বাদ গেলে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে! যে বিষয়েও অবগত ববিতা সরকার নিজেও।


কমিশন সূত্রে খবর, এসএসসিতে মাধ্য়মিক, উচ্চমাধ্যমিক-সহ সব রেজাল্টের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বা এডুকেশনাল স্কোর দেওয়া হয়। ববিতার সেই এডুকেশাল স্কোরেই গরমিল ধরা পড়েছে। ববিতার এডুকেশনাল স্কোর ৩১, কিন্তু কমিশন দিয়েছে ৩৩! কীভাবে নম্বর বেড়ে গেল? ববিতা কমিশনকে জানিয়েছিলেন, ৬০ শতাংশ নম্বর। কিন্তু মার্কশিটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশ। আর এর জেরেই এবার এত লড়াই করে পাওয়া চাকরি যাওয়ার মুখে ববিতার।


আরও পড়ুন, SSC: ভরসা আদালতই! অবশেষে নিয়োগপত্র পেলেন এসএসসি-র বঞ্চিত প্রার্থীরা....



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)