নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক ব্যাঙ্কের নাম জড়াচ্ছে জালিয়াতি চক্রে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চক্রের শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? উত্তর পেতে সূত্র হাতড়াচ্ছে পুলিস। প্রথমে কানাড়া ব্যাঙ্ক, তারপর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। এরপর সেই তালিকায় যোগ হল আরও দুটি নাম। অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কসবা এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রাণী ব্যানার্জি ও তাঁর ছেলে রৌণক। অন্ধ্র ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাঁদের দাবি, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৭ জুলাই ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, অন্ধ্র ব্যাঙ্কের এটিএম ছাড়া তাঁরা আর অন্য কোনও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন না বলে জানিয়েছেন। এরফলে জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে অন্ধ্র ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও কিনা, উঠছে সেই প্রশ্ন। এই ঘটনায় কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মা ও ছেলে।


আরও পড়ুন, কীভাবে তৈরি হচ্ছিল ভুয়ো আধার কার্ড? হানা দিতেই পর্দা ফাঁস  


শুধু অন্ধ্র ব্যাঙ্ক নয়। সামনে এসেছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কেরও একটি ঘটনা। রেডিও জকি নীলাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, তাঁর অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেও ৫০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। এবং বিগত দু-সপ্তাহের মধ্যে তিনি এই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা তোলেননি। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় দায়ের করেছেন নীলাঞ্জনা।


মঙ্গলবার সামনে আসে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। দেখা যায়, শহর জুড়ে বহু মানুষ এই জালিয়াতির শিকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় দিল্লির বিভিন্ন এটিএম থেকে এই টাকা তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরবাসীর মনে।


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, সমস্ত টাকা লোপাট হয়েছে অনলাইনেই। হ্যাকাররা মূলত স্কিমার লাগিয়ে চুরি করেছে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য। তারপর সেই তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে নকল এটিএম কার্ড। এটিএমে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গেছে, গোলপার্কের কাছে প্রথম এটিএম-টিতে ৪ এপ্রিল স্কিমার বসানো হয়। এরপর ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪ বার ওই এটিএম-এ হানা দেয় হ্যাকাররা।


আরও পড়ুন, কবর খুঁড়ে বের করলেই 'বেঁচে উঠবে' মৃত সন্তান!


তদন্ত চলার পাশাপাশি-ই মঙ্গলবার কলকাতা পুলিস জালিয়াতির শিকার সমস্ত গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, যাঁদের টাকা গায়েব হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই টাকা ফেরত পাবেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে খোওয়া যাওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।