পিয়ালী মিত্র: ব্যবধান এক সপ্তাহের। বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর, এবার সিআইডির জালে গাড়ির চালক। দিল্লিতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত কানহাই কুমার। সিআইডি সূত্রে খবর, জোড়া খুনকাণ্ডে দুটি গাড়ি ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। দ্বিতীয় গাড়ির চালক ছিল কানহাই। ঘটনার পর গা-ঢাকা দেয় সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২২ অগস্ট, সোমবার আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটি জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র। নাম, অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। পরিবারের লোকেদের দাবি, এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।  এই ঘটনায় প্রথম যাঁকে গ্রেফতার করা হয়, সেই অভিজিৎ বসুকে জেরা করে জানা যায়, বাসন্তী হাইওয়ে  চলন্ত গাড়িতে দু'জনকেই খুন করেছে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র ও আরও বেশ কয়েকজন। বনগাঁ মর্গে গিয়ে জোড়া মৃতদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এমনকী, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।


অবশেষে ৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্রকে। পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে হাওড়া স্টেশনের এসি ওয়েটিং রুমে আশ্রয় নিয়েছিল সে। এবার দিল্লি থেকে গাড়ির চালক  কানহাই কুমারকে গ্রেফতার করা হল। ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে আনা হবে কলকাাতা।



এদিকে এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, যেদিন বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে, সেদিনই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্য়েই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধাননগরের পুলিস কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন  গৌরব শর্মা। তিনি যে পদে কর্মরত ছিলেন, সেই শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার হলেন অখিলেশ চতুর্বেদী। আর সুপ্রতীম সরকার? ট্রাফিক পুলিসে আইজি করা হল তাঁকে। সাসপেন্ড করা হয় বাগুউআটি থানার তৎকালীন আইসিকে।


আরও পড়ুন: SSC Scam: কীভাবে আসত চাকরিপ্রার্থীদের নাম, শান্তিপ্রসাদ-কল্যাণময়ের সঙ্গে পার্থকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা!


এদিকে জোড়া খুনকাণ্ডের প্রতিবাদে বাগুইআটি থানা বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। থানায় ডেপুটেশন দেন দলের মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'পরিবারকে পরামর্শ দেব, আপনারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোন। জনস্বার্থ মামলা করুন। সিবিআই চান'।  তাঁর অভিযোগ, 'পুলিসের সাহায্যে মেলা, খেলা হয়। পিসি-ভাইপোকে নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিসের কাজ। চুরি, ডাকাতি, অপহরণের লাইসেন্স দেওয়া আছে। ভাইপো লোক হলে পুলিস কিছু বলবে না'।  দোষীদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)