ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে রাজ্য বিজেপি। দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে সেই ইঙ্গিতই আরও স্পষ্ট হল। আশার আলো দেখাতে পারলেন না অরুণ জেটলিও। তাঁর কথায় বরং আরও হতাশ হয়ে পড়লেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাই দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে অরুণ জেটলির বক্তৃতার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। দলের শীর্ষ নেতা জেটলি এমনকিছু বলবেন যাতে নতুন উদ্যমে শুরু করা যাবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। এমনই হয়তো ভাবনা ছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। কিন্তু হল সম্পূর্ণ উল্টো। দুদিনের বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রায় ৩০০-র ওপর প্রতিনিধির সামনে জেটলি কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বামপন্থীদের। স্বল্প সময়ের তাঁর বক্তৃতার প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল ৩৪ বছরের বাম শাসন নিয়ে বিদ্রূপ। তৃণমূল নিয়ে তিনি বরং অনেক নরম ছিলেন। সারদার মতো ইস্যু থেকে আইনশৃঙ্খলা একটি কথাও খরচ করলেন না অরুণ জেটলি। কংগ্রেস-সিপিএমের জোট জল্পনাও নিয়েই বরং কটাক্ষ ছিল তাঁর গলায়।


বিজেপির সাম্প্রতিক আইন অমান্য আন্দোলন নিয়েও নীরব ছিলেন অরুণ জেটলি। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, জোটের সম্ভাবনা নেই। বিজেপি একলা চলবে। তাঁর আবেদন স্পেশ বাড়ান অর্থাত্ সংগঠন বাড়ান। কিন্তু সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে দলের কর্মী সমর্থকেরা যা শুনতে চান, জেটলির কথায় তা ছিল না ।


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে হবে বা জিততে হবে, এমন কিছুই বলেননি জেটলি। তাই কিছুটা হলেও হতাশ রাজ্য নেতৃত্ব। তবে কি শুধুমাত্র বামপন্থীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল সম্পর্কে নীরব থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন লড়তে হবে রাজ্য বিজেপিকে?  ইতিমধ্যেই বিজেপির দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকশেষে সেই প্রশ্ন উঠে গেল। কীসের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন অরুণ জেটলি? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক মহলে।