ওয়েব ডেস্ক:কামদুনির পর সালকিয়া। আবারও চাকরি দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা শুরু করল সরকার। ইভটিজারদের মারে মৃতপ্রায় হয়ে, পাঁচ দিন ধরে যখন হাসপাতালে পড়েছিলেন অরূপ, টিকিও মেলেনি কারোর। মৃত্যুর পর এবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে, ভাইকে দেওয়া হচ্ছে চাকরি।  
 
মা বললেন, শাস্তি চাই..।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আততায়ীদের শাস্তি কবে হবে? জানা নেই। কবে বিচার পাবেন অরূপ ভাণ্ডারী? তাও জানা নেই। তবে অরূপের মৃত্যুর পরদিনই, মঙ্গলবার সকালসকাল জানা গেল, চাকরি পাচ্ছেন সালকিয়ার নিহত প্রতিবাদীর ভাই।



বাড়ির ছেলেটি যখন মার খেয়ে কোমায়, দিনের পর দিন হাসপাতালে, তখন কারোর দেখা মেলেনি।


শাসক দলের নেতাদের ভিড় জমেছে প্রতিবাদী অরূপের মৃত্যুর পর। উঠেছে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ। অরূপ ভাণ্ডারীকে তৃণমূল কর্মী সাজানোর চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন এলাকার মানুষই।
বেড়েছে ক্ষোভ। চড়েছে প্রতিবাদের সুর। তাই কি এবার নয়া স্ট্র্যাটেজি শাসক দলের? চাকরির টোপ দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা?


যে ভাইকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত, সেও সরব একই দাবিতে।


দাদার মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী, তাদের শাস্তি চান ভাই। কিন্তু একই সঙ্গে তার মাথার ওপর এখন গোটা সংসারের চাপ। হাতে আসা চাকরির সুযোগ পায়ে ঠেলে দেওয়ারও উপায় নেই। কিন্তু তিনিও বোঝেন, কেন হঠাত্‍ চাকরির ডালি নিয়ে দরজায় হাজির হয়েছে সরকার? ঠিক যেমনটা হয়েছিল, কামদুনির ক্ষেত্রেও। গরিবের মুখ বন্ধ করতে একটা চাকরি দিয়ে দেওয়া যে বড় অস্ত্র, আগেও দেখেছে সরকার। আবারও সেই একই চেষ্টা।