দক্ষিণ শহরতলির অশ্বিনীনগরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি। বৃদ্ধকে বেঁধে রাতভর ঘর তছনছ করল ২ ডাকাত। খেল চকোলেট। যাওয়ার সময় বৃদ্ধের অনুরোধে ফেরত দিয়ে গেল মোবাইল ফোনের সিম। সঙ্গে ২,০০০ টাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রানিকুঠির অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা ৮৮ বছরের বৃদ্ধ অমল চন্দ্র বসু মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুম ভাঙলে দেখেন, ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ২ যুবক। হাতে কাঁচ, স্ক্রু ড্রাইভার। বাড়িতে একাই থাকেন অমলবাবু। ছেলে থাকে কাছেই, অন্য ফ্ল্যাটে। বৃদ্ধ জাগতেই হুমকি দিয়ে তারা বলে, আওয়াজ করবেন না। মেরে ফেলব। ভয়ে বৃদ্ধ জড়োসড়ো হয়ে গেলে বেঁধে ফেলে তারা। এর পর চায় আলমারির চাবি। বৃদ্ধ চাবি দিতে অস্বীকার করলে ফের প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। ভয় পেয়ে চাবি দিয়ে দেন বৃদ্ধ। 


 



চাবি পেয়েই ঘরের আলো নিভিয়ে আলমারি খুলে তছনছ করতে শুরু করে ২ ডাকাত। জানতে চায় টাকা কোথায় আছে? বাড়িতে টাকা নেই বলে বৃদ্ধ জানালে তারা বলেন, তাহলে দিনের বেলা ১ লক্ষ টাকা ফিক্সড করবেন বলছিলেন যে? আলমারি থেকে ৩০,০০০ টাকা পায় তারা। বুধবার সকালে থানা থেকে ফিরে বৃদ্ধ অমলবাবু বলেন, 'সঙ্গে এক প্রতিবেশীর রাখা কিছু সোনার গয়নাও নিল। সকালে খাওয়ার জন্য রাখা ছিল একটা বিস্কুটের প্যাকেট, সেটাও নিল। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। আমার নাতি তাঁর ছবির সামনে একটা চকোলেট রেখেছিল। সেটা নিয়ে খেতে শুরু করে এক যুবক। ট্রেন ধরতে হবে বলে তাড়াহুড়ো করছিল ওরা।'


ভোর রাতে ২ ডাকাত যখন ঘর ছাড়ে তখনও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় পড়ে অমলবাবু। নিজেই চেষ্টা করে যখন তিনি বাইরে বেরোন তখন ভোর প্রায় ৪.১০। দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। বুঝতে পারেন ছাদের দরজা ভেঙে ঢুকেছিল ২ ডাকাত। 


অমলবাবু জানান, ২ ডাকাত যখন ডাকাতির মালপত্তর গুছিয়ে ঘর ছাড়ছেন তখন তিনি বলেন, বুড়ো মানুষ। ওই ফোনটা দিয়ে গ্যাস বুক করি। ফোন নিয়ে গেলে গ্যাস বুক করব কী করে? সঙ্গে বলেন, সবই তো নিয়ে গেলে, সকালে খাবো কী? শুনে ফোনের ২টি সিম ও ২,০০০ টাকা অমলবাবুকে দিয়ে যায় ডাকাতরা। 


দিলীপের 'গরুর স্বর্ণনাড়ি' নিয়ে মিমে ছেয়ে গেল ওয়াল


বাঁধন খুলে বাইরে বেরিয়ে ছেলের বাড়ি যান অমলবাবু। সেখান থেকে থানায়। অভিযোগ পেয়ে তাঁর বাড়িতে কর্মরত ৩ রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিস। 


মঙ্গলবার সকালে আতঙ্কিত বৃদ্ধ জানান, ৫০ বছর এপাড়ায় আছি। সপ্তাহে ৩ দিন ছেলের বাড়ি থাকি। ৪ দিন থাকি এখানে। আজ পর্যন্ত কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত।