Suvendu Adhikari: কয়েক মাসেই একশোর নীচে চলে যাবে তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনা করব। তাঁর কথায় মানসিক অসুস্থতা প্রমাণিত হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই, নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেও উঠছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। এরকম এক পরিস্থিতিতে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক চাকরি বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। চাকরিপিছু ১৫-১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন তাঁরা। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা নেমে যাবে। এমনকি তৃণমূল বিধায়কদের সংখ্যা নেমে আসতে পারে একশোরও নীচে।
আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘কালেকশন এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করতেন তৃণমূলের এই বিধায়ক!
শনিবার শুভেন্দু বলেন, আমি বলেছিলাম একশো জন বিধায়ক চাকরি বিক্রির এজেন্টের কাজ করেছেন। ২০০-৩০০ জনের চাকরির জন্য টাকা তুলেছেন। সব টাকাটা তারা পাননি। ১৫ লাখ, ১৮ লাখ টাকা তারা তুলেছেন। ৮-১০ লাখ টাকা তারা কালীঘাটে পৌঁছে দিয়েছেন। বাকী ৫-৬ লাখ টাকা নিজেরা রেখেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে, মানিক ভট্টাচার্য জেলে, জীবনকৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অখিল গিরির প্যাড হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছে। উত্তর দিনাজপুরের এক বিধায়ক, পুরুলিয়ার এক বিধায়ক, এরকম অসংখ্য তৃণমূল বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তোলামূলের বিধায়ক সংখ্য়া হয়তো একশোতে নেমে যেতে পারে।
এদিকে, শুভেন্দুর ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনা করব। তাঁর কথায় মানসিক অসুস্থতা প্রমাণিত হচ্ছে।। যাকে নিজেকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গেল, যার নাম সিবিআইয়ের এফআইআর-এ জ্বলজ্বল করছে, সারদার সুদীপ্ত সেন বলছেন তিনি টাকা টাকা দিয়েছেন, যার সুপারিশে পাওয়া ৫৫ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে তিনি এখন বড়বড় কথা বলছেন। আমরা প্রশ্ন একটাই, তিনি কি বুক ঠুকে বলতে পারবেন তাঁর দলের বিধায়ক সংখ্য়া কত? ৭৭ থেকে বিধায়ক সংখ্যা কোথায় নেমে এসেছে তিনি বলতে পারবেন? তাদের মুখে এসব কথা শুনলে ঘোড়ারাও হাসবে।