মৌপিয়া নন্দী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই দল ভাঙছে রাজ্য বিজেপির। দলের বহু নেতা তাদের পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি বিজেপির এক তারকা নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর। এরকম এক পরিস্থিতিতে মমতাকে তুষ্ট করার জন্য ফিরহাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এমনই অভিযোগ এনেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এনিয়ে পাল্টা স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন মহাগুরু। তাঁকে পাল্টা নিশানা করলেন ফিরহাদ হাকিমও।


আরও পড়ুন-হাসিনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার খোরপোশ দিতে হবে, শামিকে নির্দেশ দিল আদালত


জি ২৪ ঘণ্টাকে এক একান্ত সাক্ষাতকারে মিঠুন চক্রবর্তী ওই যোগাযোগের অভিযোগ নিয়ে বলেন, বিপদে পড়ে গেলাম।  দিল্লিতে থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না বলা হয় ততক্ষণ কারও নাম নেব না ভেবেছিলাম। রাজ্যের যে ২১ তৃণমূল বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে তো উনিও রয়েছেন। উনি এখন নিজেই বলে দিচ্ছেন। বাকী ২০ জন হয়তো ওইভাবেই বলে দেবে। দায়িত্ব নিয়েই বলেছি।


ফিরহাদকে তো বিজেপি বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করতে ছাড়ে না। মিনি পাকিস্তান মন্তব্য নিয়েও ওঁকে নিশানা করা হয়েছে। এনিয়ে মিঠুন বলেন, উনি যখন মিনি পাকিস্তান বলেন তখন থেকেই আমি কনফিউজড। কেন উনি ওই কথা বললেন? উনি কি বলতে চাইলেন মোমিনপুরে যারা থাকে তারা পাকিস্তানি? নাকি, আমি পাকিস্তান থেকে অনেক লোক এনেছি যারা ওখানে থাকে! নাকি ওখানে যারা থাকেন তারা ভারতীয় মুসলিম, ওঁদের পাকিস্তানি তকমা দিয়ে বদনাম করতে চাইছেন? এই কথাটা অন্য রাজ্য়ে বলা অসম্ভব। একজন ভারতীয় হয়ে উনি একথা বলছেন। এই কথাটাই কি উনি পাকিস্তানে গিয়ে বলতে পারবেন? এটা মিনি ভারত!


বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলে থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক তৃণমূল নেতার ঘরওয়াপসি হয়েছে। এমনকি বাবুল সুপ্রিয় মতো সাংসদও দল ছেড়়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন দলের দরজা যদি একটু ফাঁক করি তাহলে দেখবেন কী হয়। এরকম অবস্থায় তৃণমূলের ২১ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন? এটা বিশ্বাসযোগ্য? নিজেদের বিধায়কদের ধরে রাখতে পাবেন? মিঠুন বলেন, দেখুন আমি প্রমাণ চাই। আমি যখন কথা কোনও কথা বলি তখন ব্যাকআপ ছাড়া বলি না। এটাকে হালকা ভাবে নেবেন না। যেদিন আমাকে ওপর থেকে বলবে তখন বলে দেব। সময় আসলে দেখে নেবেন।


এদিকে, মিঠুনের ওই মন্তব্য নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, একটা জিনিস মিঠুনদার জানা উচিত, একটা আদর্শ, নীতির জন্য জীবন দেওয়া যায়। কিন্তু নীতি বা আদর্শ ত্যাগ করা যায় না। এটা মিঠুনদা বুঝবেন না। কারণ উনি কখনও নকশাল, কখনও তৃণমূল, কখনও বিজেপি। তাই উনি এটা বুঝবেন না। নীতি ছিল বলেই ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে হঠিয়েছি। নীতি আছে বলেই বিজেপির সঙ্গে লড়াই করব। ছাত্র রাজনীতিতে থেকে গান্ধীবাদ, সুভাষবাদ জিন্দাবাদ করে বড় হয়েছি। আমরা কখনওই গডসেবাদ জিন্দাবাদ বলব না। ব্যক্তিগত যোগাযোগ মানে এই নয় যে বিজেপির কাছে আত্ম সমর্পণ করতে হবে। বিনা কারণে আমাকে জেলে ঢুকিয়েছে বিজেপি। মরে গেলেও আত্মসমর্পণ করব না।    


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)