ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগ দমনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চাইলেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মশা নিয়ন্ত্রণে পুরসভা ট্রেনিং দেওয়ার কথা জানালেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কটিশ চার্চ কলেজ ছাড়া আর কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেনি। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কলকাতার আশপাশের পুরসভাগুলি ঠিকমত কাজ করছে না বলেও অভিযোগ অতীন ঘোষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েকদিনে শহরের নানা জায়গায় মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সবই ডেঙ্গি মশার আঁতুড়ঘর। কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশার বেড়ে ওঠার আদর্শ পরিবেশ। প্রথমবার পরিদর্শনে গিয়ে সতর্ক করার পর শনিবার ফের বালিগঞ্জ ITI-এ যান মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। এবার অবশ্য মশা দমনে ITI, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ কর্তৃপক্ষকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। তবে, একইসঙ্গে আঙুল তুলেছেন শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে।


আরও পড়ুন বড়বাজারের একটি গোডাউন থেকে উদ্ধার হল ৬৫ কেজি সোনা!


কয়েকদিন আগে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে স্কুলে যাতে মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে তা দেখার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মশা দমনে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে পুরসভার ডাকে সাড়া দেয় সে জন্য শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য। মশাবাহিত রোগ দমনে কলকাতা বাদে অন্য পুরসভাগুলি তৈরি নয় বলে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এক সুর অতীন ঘোষের গলাতেও। তাঁর অভিযোগ, কলকাতার আশপাশের ১১টি পুরসভা মশা নিয়ন্ত্রণে সেভাবে পদক্ষেপ না করায় মাশুল দিতে হচ্ছে শহর।


মশাবাহিত রোগ দমনে রাজ্যের তুলনায় কলকাতার পারফরম্যান্স ভাল বলে দাবি অতীন ঘোষের। এ জন্য এ সংক্রান্ত রিপোর্টে কলকাতা এবং রাজ্যের উল্লেখ আলাদাভাবে করার জন্য ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের বৈঠকে দাবি জানিয়েছেন তিনি।