নিজস্ব প্রতিবেদন: এটিএম জালিয়াতি (ATM hacking) কান্ডে নয়া তথ্য। কার্ড জালিয়াতি করে টাকা তোলার পর বিট কয়েনের (Bit Coin) মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেছিল সিলভিউ। পুলিশ জানতে পেরেছে, ৫ লক্ষ টাকা বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করেছিল। এবং ভারতীয় ১ লক্ষ টাকা ইউরোতে বদল করে নিজের কাছে রেখেছে। সিলভিউ কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আজ আরও ৩৫টি কার্ড বাজেয়াপ্ত হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন থেকেও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যেখানে আরও অনেক গ্রাহকের কার্ডের তথ্য রয়েছে। একটি জায়গায় দেখা গিয়েছে, এর দলের কয়েকজন যারা এটিএমে ঢুকে কার্ডে টাকা তোলার সময় কোনও সমস্যা হলে, সেটা হোয়াটসঅ্যাপ করে সিলভিউকে জানায়। সব শেষে সিলভিউ মাঠে নামে। কলকাতায় আসার আগে মাস্টার মাইন্ড সিলভিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিল। পুলিশ অনুমান করছে, এর দলই দিল্লির এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত আছে। এদিকে, দলের আরও কয়েকজনের নাম বলেছে সিলভিউ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে, তবে এখনও কেউ ধরা পড়েনি।


প্রসঙ্গত, সোমবার এটিএম কাণ্ডে প্রথম সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন নামে এক রোমানিয়ানকে দিল্লির গ্রেটার কৈলাস থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। রীতিমতো নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয় স্পিরিদোনকে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রথমে সিলভিউকে চিহ্নিত করা হয়। দেখা যায় প্রধানত সকালের দিকে এরা এটিএম-এ ঢুকছে। সেই অনুযায়ী আজ ফাঁদ পাতে কলকাতা পুলিসের একটি দল। কাল সকালে গ্রেটার কৈলাসের একটি এটিএম-এর কাছে ভোর ৫টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকে কলকাতা পুলিসের একটি টিম।


আরও পড়ুন, কলকাতার মানচিত্রে নয়া পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে ধাপার মাঠ!  


এদিকে ধুরন্ধর সিলভিউ সেখানে পুলিসের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরেই এটিএম কাউন্টার থেকে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অটোয় উঠে চম্পট দেয়। সিলভিউয়ের পিছু নেয় পুলিসের টিম। অটো ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিস। এরপর গ্রেটার কৈলাস এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে সিলভিউ। তারপর সেখানে ডোর টু ডোর নক করে অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস। ধৃত সিলভিউ স্পিরিদোননকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেক রোমানিয়ান তৌসিফ মৌরারুর নাম জানতে পেরেছে পুলিস। বর্তমানে দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছে সে। অন্যদিকে, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিলভিউর পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক।