সন্দীপ সরকার ও সুচারু মিত্র 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাতে সময় বড্ড কম। ওদিকে ঘড়ির কাটাও ছুটছে। স্কুল শুরু হতে ১৫ মিনিটও বাকি নেই। সন্তানের হাত ধরে পিঠে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে মা। প্রচণ্ড তাড়ায় আছেন অফিসযাত্রীরাও। বাসও আসছে না, যেটাও বা আসছে সেটাও ভিড়ে ঠাসা। এমন অবস্থায় শহরের লাইফ লাইন একমাত্র অটো। আর সেই অটোই কিনা হয়ে উঠছে শহরবাসীর দুর্ভোগের কারণ।


নিত্যযাত্রীদের সিংহভাগই অভিযোগ করছেন, অটো চালকরা উপরি ভাড়ার জন্য দাদাগিরি করে। কোথাও কাটা রুটের যন্ত্রণা, তো কোথাও দুর্ব্যবহার, কষ্টের শেষ নেই আম আদমির। সমস্যাটা উল্টোডাঙা এবং রাসবিহারী-তে সবথেকে বেশি হলেও উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ছবিটা সর্বত্র একই। এমন অবস্থায় কোথায় যাবে নিত্যযাত্রীরা?   


মন্ত্রী সাধন পান্ডে অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যা মেটাতে আজ (শুক্রবার) অটো মালিক সহ ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে বৈঠকেও বসছেন মন্ত্রী। আলোচনা হওয়ার কথা উল্টোডাঙা-সল্টলেক, উল্টোডাঙা-শোভাবাজার, উল্টোডাঙা-নিমতলা,  উল্টোডাঙা-মানিকতলা ও উল্টোডাঙা-বাগুইআটি রুটের নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে। আলোচনার টেবিলে থাকবে মূলত চারটি বিষয়।



এক- কাটা রুটের সমস্যা


দুই- যেমন খুশি ভাড়ার জুলুম


তিন- অটো চালকদের দুর্ব্যবহার


চার- পছন্দ অনুযায়ী রুটে অটো চালানো


শিয়ালদহ লাইনের যাত্রীদের অভিযোগ অফিস টাইমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। রুট থাকলেও প্রয়োজনের সময় পর্যাপ্ত অটোই পাওয়া যায় না। এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয় তোপসিয়া, চিংড়িঘাটা, মেট্রো-পলিটান ও ইএম বাইপাসের যাত্রীদের।


উল্টোডাঙার সমস্যা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ আরও মারাত্মক। বৃ্ষ্টির দিনে ২৫ টাকার ভাড়া ৬০ টাকাও নেন অটো চালকরা।  একই সমস্যা রাসবিহারী-চেতলা-তারাতলা-চৌরস্থা-নিউ আলিপুর রুটেও। ১৪ টাকার ভাড়া ইচ্ছে মতো বাড়ে। ২০-২৫ কিংবা তারও বেশি! যার থেকে যেমন খুশি ভাড়া নেয় অটো চালকরা।


অন্যদিকে, অটো চালকদের একাংশের দাবি, যাত্রী ভর্তি না করে অটো চালালে তাঁদের লোকসান হয়। তার ওপর আবার রুট একটু এদিক-ওদিক হলেই সার্জেন্টের কেস। সমস্যায় রয়েছেন তাঁরাও।