ওয়েব ডেস্ক: পুজো আসছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অটোর জুলুম। কোথাও অটো চলছে কাটা রুটে। নেওয়া হচ্ছে মনমতো ভাড়া। তবে এই দৌরাত্ম্য থেকে শহরবাসীর  নিস্তার মেলার তেমন কোনও ইঙ্গিত মিলল না তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের  কর্মশালায়। রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী যত না জুলুম বন্ধের কথা বললেন, তার চেয়ে বেশি অটোচালকদের পাশে দাঁড়ালেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মস্তানি, খুচরোর জন্য যাত্রীর গায়ে হাত তোলা, কাটা রুটে যাতায়াত, উত্‍সবের মরশুমে মনমতো ভাড়া। অটোর বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ। অটো দৌরাত্ম্যের জেরে ঘটে চলেছে প্রাণহানির ঘটনা। তবু অটোকে বাগে আনে কার সাধ্য!


ররিবার তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা অটো রিকশ ড্রাইভার্স এবং অপারেটর্স ইউনিয়নের তরফে গড়িয়াহাটে আয়োজিত হয়েছিল কর্মশালা। ছিলেন INTTUC নেতা ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। আশা ছিল, অটোর জুলুমবাজি বন্ধে কড়া বার্তা দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হল কই! 


কর্মশালায় আমন্ত্রিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু তাঁকে দেখা যায়নি। অটোকে নিয়মের শৃঙ্খলে বাঁধতে এগারো দফা নির্দেশ জারি করেছে ইউনিয়ন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল, 


১) গাড়ি চালকের বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।


২) কোনও রকম কাটা বা ব্রেক ট্রিপ চলবে না।


৩) গাড়ির ভেতরে বা বাইরে LED লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম লাগানো চলবে না।


৪) যাত্রীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে।


৫) চারজনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।


এই নির্দেশিকা শুধু খাতায় কলমে থাকলে হবে না। কর্মশালায় মন্ত্রীর অটোশাসন বলতে এটুকুই! বাকিটা অটোচালকদের পাশে থাকার বার্তা। যে রুটে অটোর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ, সেই পার্ক সার্কাস-ধর্মতলা রুটের ইউনিয়ন নেতারা কী বলছেন? সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার থেকে প্রত্যেক অটো স্ট্যান্ডে ড্রপ বক্স থাকবে। যাত্রীরা নিজের নাম ফোন নম্বর সহ অভিযোগ জানাতে পারবেন সেখানে।