অযোধ্যা রায় নিয়ে কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন অযোধ্যা নিয়ে তাঁর কবিতা ‘না বলা’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে। সেই রায়ে বলা হয়েছে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই তৈরি হবে মন্দির। পাশাপাশি, মসজিদ তৈরি জন্য অযোধ্যার মধ্যেই ৫ একর জমি দিতে হবে। এই রায়ে ব্যথাতুর মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন-বুলবুল থেকে বাঁচাতে দুর্গতকে আশ্রয় দিল কলকাতা বন্দরের সাগর পাইলট স্টেশন


মুখ্যমন্ত্রীর মতে অনেকসময় কিছু কথা না বললেও না বলাটাও আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কষ্ট পেলে তা গাঁথা থাকে মনের মধ্যে যা ব্যথার উদ্রেক করে। এই যন্ত্রণা বাড়ায় মানসিক দূষণ। কথা বলতে না পারাটা অতীব যন্ত্রণার।


মমতা লিখেছেন-


না বলা


অনেক সময়


কথা না বলেও


অনেক কথা বলা হয়ে য়ায়।


কিছু বলার থেকে


না বলাটা


আরও শক্তিশালী বলা।


খিদে পেলে


খাবার না পেলে


খিদের ‘ক্ষুধা’ বোঝা যায়।


তেমনি ঘুমের সময়


ঘুম না পেলে


ঘুমের মর্ম বোঝা যায়।


দাঁত থাকতে


যেমন দাঁতের মর্ম


মর্মর গাঁথায় লেখা থাকে,


তেমনি কষ্ট পেল


‘কষ্টকর্ম’ প্রতি ছত্রে


গাঁথা থাকে।


মনের কথা


প্রকাশ না পেলে


কথা ‘ব্যথার’ উদ্রেক করে,


যা মানসিক দূষণ বাড়ায়।


বলা হয়ে গেলে খুলে যায় দ্বার-


কথা-কথায় কথা বলে।


আর না বলতে পারাটা


অতীব যন্ত্রণা।


ওটা তো হৃদয়ের শক্তিশেল-


জমা থাকে।।



আরও পড়ুন-বুলবুলের হামলায় মাথায় হাত চাষিদের, মাঠেই পচতে পারে ধান-সহ অন্যান্য ফসল


উল্লেখ্য, এর আগে প্রতিবাদের পাশাপাশি কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কবিতায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে তাঁর কবিতা ‘পরিচয়’-এ নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রের শাসক দলকেই। বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে মমতার বক্তব্য ‘প্রতিবাদ করলেই তুমি বিরোধী’।



কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদেও তিনি সরব হয়েছিলেন তাঁর লেখা কবিতা লজ্জিত-য়। চিদম্বরমের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তাঁর কলম। লিখেছিলেন ‘ঠিকানা’।