নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা প্রতিরোধে আয়ুর্বেদিক ওষুধের ট্রায়াল চলছে দেশজুড়ে। ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে স্যাম্পল। প্রয়োগ করা হচ্ছে চার রকম ওষুধ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোভিড-১৯-কে নির্মূল করবে, এমন কোনও ওষুধ এখনও তৈরি হয়নি। ম্যালেরিয়ার ওষুধ থেকে প্লাজমা থেরাপি, নানা ভাবে সংক্রামক ভাইরাসকে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। পিছিয়ে নেই এদেশের সনাতন আয়ুর্বেদ। করোনা প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের কার্যকারিতা ক্লিনিকাল ট্রায়াল করে দেখা হচ্ছে। 


৪ রকম প্রোটোকলে ভেঙে তৈরি করা হয়েছে ৪ ধরনের ওষুধ। 


১. দারচিনি,  তুলসী,  শুকনো আদা,  গোলমরিচ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ওষুধ। 
২. অশ্বগন্ধা, গুরুচি,  গুলঞ্চ, যষ্টি মধু মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ মিশ্রণ।
৩. এছাড়াও রাখা হচ্ছে চ্যবনপ্রাশ।
৪. গোল্ড মিল্ক, অর্থাত্‍ দুধের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ।


করোনা প্রতিহত করতে শরীরে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়তে হবে। এই লক্ষ্যে স্যাম্পলকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 


১. যাদের সংক্রমণের মাত্রা কম, সেখানে ভাইরাল লোড কমাতে আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। 


২. যারা কোভিডে তীব্রভাবে আক্রান্ত এবং লাইফ সাপোর্টে আছেন, স্ট্যান্ডার্ড চিকিত্‍সার পাশাপাশি প্রোটোকল মেডিসিন হিসেবে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে আয়ুর্বেদ মিশ্রণ। 


৩. করোনা সঙ্কটে ফ্রন্টলাইনে থেকে যুদ্ধ করছেন যাঁরা, সেই সব ডাক্তার, নার্স, পুলিস, সাফাইকর্মীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুর্বেদ ওষুধ।


৪. লকডাউনে যাঁরা গৃহবন্দি ছিলেন, তাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োগ করা হচ্ছে আয়ুর্বেদ ওষুধ। 


রাজ্য আয়ুর্বেদ কাউন্সিলের সহ সভাপতি প্রদ্যোত্‍ বিকাশ কর মহাপাত্রের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত ট্রায়ালের যে ফলাফল উঠে আসছে, তা যথেষ্ঠ আশাব্যঞ্জক। পূর্ণাঙ্গ ফলের দিকে তাঁরা তাকিয়ে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডক্টর অচিন্ত্য মিত্রের বক্তব্য, দেশের একাধিক জায়গায় আয়ুষ মন্ত্রকের বিধিনিষেধ মেনে ট্রায়াল চলছে। আক্রান্ত এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা, এদের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।দেশজুড়ে এই ট্রায়ালের দেখভাল করছে ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর আয়ুর্বেদিক ড্রাগ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট। 


আরও পড়ুন- আমফানে রাজ্যে ক্ষতি ১ লক্ষ কোটির বেশি, কেন্দ্রীয় দলকে হিসাব নবান্নের