ওয়েব ডেস্ক: বাগুইআটির তেঘরিয়ায় একই পরিবারের চারজনের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় বাড়ছে রহস্য। গভীর রাতে অগ্নিগদ্ধ হন গৃহকর্তা, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রবধূ। তবে আগুনে পুড়ে সামান্য আহত ছেলে। রক্ষা পেয়েছে ঘরের মধ্যে থাকা চার বছরের শিশুকন্যাও। কীভাবে লাগল আগুন? কীভাবে বেঁচে গেলেন গৃহকর্তার ছেলে? মিলছে না উত্তর। ছেলে অমিত নস্করকে জেরা করছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শহরের সব খবর


অগ্নিকাণ্ডে রহস্য
দগ্ধ এক পরিবারের ৪ সদস্য


তেঘরিয়ার মণ্ডলপাড়া। এখানেই বাড়ি বছর ষাটেকের অরুণ নস্করের। সোমবার রাত প্রায় পৌনে দশটা। আচমকা চিত্‍কার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।



দেখেন, উঠোনের ওপর দাউদাউ করে জ্বলছেন অরুণ নস্কর, তার স্ত্রী পূর্ণিমা এবং ছেলের বউ মীনা। দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় RG KAR হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিনজনকে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আগুনে হাত পুড়ে যায় অরুণবাবুর ছেলে অমিত নস্করেরও। তাঁকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।



অগ্নিকাণ্ডে রহস্য


ঘটনার সময় ঘরের মধ্যে ছিল অমিত নস্করের চারমাসের শিশুকন্যা। অমিতই তাকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীদের হাতে তুলে দেন। শিশুটির গায়ে কোনও আঁচ পড়েনি। বাড়ির সামনের বারান্দায় রান্নাঘর। প্রাথমিক অনুমান সেখানেই আগুন লাগে। কীভাবে লাগল আগুন? তা এখনও স্পষ্ট নয়।


আগুনের উত্‍স নিয়ে ধন্দ


গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত। ফলে সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগেনি। গ্যাস লিকের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বারান্দায় দেওয়াল, পর্দা, কোনও কিছুতেই পোড়া বা ঝলসে যাওয়ার চিহ্ন নেই। ভিআইপি রোডের ওপর অরুণ নস্করের একটি চায়ের দোকান আছে। ছেলে অমিত সেখানেই বাবার সঙ্গে কাজ করে।


নেপথ্যে জমি বিবাদ?

জমি বিক্রি নিয়ে অরুণ নস্করের সঙ্গে ছেলে অমিতের অশান্তি চলছিল। সোমবার রাতেও তাঁদের মধ্যে এনিয়ে বচসা হয়। পরিবারের ৩ সদস্যের দেহের ৮০% পুড়ে গেলেও, অমিতের হাতের কিছু অংশ সামান্য পুড়েছে