Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডের রাতে অনুব্রতর সঙ্গে কথা হয় মূল অভিযুক্ত আনারুলের! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের
বগটুইকাণ্ডে নিয়ে বেকায়ায় অনুব্রত মণ্ডল! ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতার নাম। এমনটাই উঠে আসছে সিবিআইয়ের হলফনামায়। সিবিআই তার হলফনামায় জানিয়েছে কীভাবে বগটুইকাণ্ডের সঙ্গে অনুব্রতর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড।
অর্ণাবাংশু নিয়োগী: বগটুইকাণ্ডে নিয়ে বেকায়ায় অনুব্রত মণ্ডল! ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতার নাম। এমনটাই উঠে আসছে সিবিআইয়ের হলফনামায়। সিবিআই তার হলফনামায় জানিয়েছে কীভাবে বগটুইকাণ্ডের সঙ্গে অনুব্রতর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড।
আরও পড়ুন-আনারুল-মিহিলাল-সহ ৭ অভিযুক্তকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা, তলব রামপুরহাটের IC-SDPO-কেও
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, বগটুই অগ্নিকাণ্ডের দিনই অর্থাত্ গত বছর ২১ মার্চ ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনারুল সেখের সঙ্গে অনুব্রতর কথা হয়। সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিট। পরদিন সকালেও আনারুলের সঙ্গে অনুব্রতর কথা হয়। একেবারে তারিখ ও সময় ধরে সিবিআই তার হলফনামায় অনুব্রত-আনারুল কথোপকথনের কথা উল্লেখ করায় এনিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বগটুইয়ের মর্মান্তিক ওই ঘটনার সঙ্গে কি অনুব্রতর কোনও যোগ রয়েছে? স্পষ্ট করে না বললেও সিবিআই কি সেই ইঙ্গিতই দিতে চাইছে? তবে হলফনামায় ওই ফোনে কথাবার্তার কথা উল্লেখের পর হয়তো আগামীদিনে এনিয়ে বিস্তারিত বলবে সিবিআই।
বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন সেখের মৃত্যু হয়েছে সিবিআই হেফাজতে। এনিয়ে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়েছে। লালন সেখের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিআইডি। এদিকে, এখন সিবিআইয়ের প্রশ্ন মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ঘটনার রাতে অনুব্রতর কী এমন কথা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর বীরভূমের বগটুই মোড়ে আততায়ীর হাতে খুন হন এলাকার তৃণমূল নেতা ভাদু সেখ। সেই ঘটনার পাল্টা হিসেবে ঘিরে ফেলা হয় বগটুই গ্রাম। করা হয় প্রবল বোমাবাজি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গ্রামে। সেই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। গত মাসে ঘটনায় অভিযুক্ত লালন সেখের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর সঙ্গে আনারুলের ফোনে কথা বলার যে অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে খতিয়ে দেখবে সিবিআই। এরপর এনিয়ে ফের আদালতে জানাতে পারে সিবিআই, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অনুব্রতর বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মানুষ জানে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। অনুব্রত মণ্ডল যা করেন তা তার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে। বগটুই কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে তারা গেলেন না। বরং মন্ত্রীমশায় একটা চক্রান্তের তত্ব ভাসিয়ে দিয়ে চলে এলেন। যারা যারা ওই মামলায় অভিযুক্ত তাদের সবার সঙ্গেই অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে।