মৌমিতা চক্রবর্তী: বগটুইকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে কি শুভেন্দুর ডিসেম্বর ধামাকার কোনও সম্পর্ক রয়েছে? প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার ১২ ডিসেম্বর কোনও এক ধামাকার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হাজরায় তাঁর সভায় তার কোনও নামগন্ধ মিলল না। তবে লালন শেখের মৃত্যুর সঙ্গে আজকের তারিখের সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেন কুণাল। শুধু তাই নয় শুভেন্দুকে জেরা করারও দাবি করে বসলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সিবিআই ক্যাম্পে উদ্ধার বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের বিবস্ত্র ঝুলন্ত দেহ


কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী কি ১২ ডিসেম্বর লালনের মৃত্যুর কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন? কাকতালীয় ভাবে আজই সেই ১২ ডিসেম্বর। এই দিনের ইঙ্গিতই কি দিয়েছিলেন শুভেন্দু? অবিলম্বে বগটুইকাণ্ডের তদন্তের আওতায় আনতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। 


কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল ধরা হবে, ধরা হবে। তিনি ধরা পড়লেন। এবার জানা গেল সিবিআই হেফাজতে তার মৃত্যু হয়েছে। যে উচ্চতা থেকে মৃত্যু হয়েছে সেখানে আত্মহত্যা সম্ভব কিনা, গোটা ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, স্পর্শ্বকাতর এই অভিযুক্তের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা তদন্ত সাপেক্ষ। ১২ তারিখ সরকার থাকবে না, ১২ তারিখ দেখুন কী হয় এসব বলেছেন শুভেন্দু। এই ১২ ডিসেম্বরের সঙ্গে এই মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তের আওতায় এনে তাকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।


কুণালের ওই দাবি নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরকম বক্তব্য তিনি রাখতেই পারেন। অভিযোগ করতে পারেন, আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট যে লালন শেখ বগটুই হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ছিল। তদন্ত চলছিল। তার কাছ থেকে কিছু তথ্যও পাওয়া গিয়েছিল। লালনের মৃত্যু তদন্তের গতি স্লথ হবেই। তাতে লাভ কাদের? তা তদন্ত করে দেখা উচিত। দেখুন, ডিসেম্বরে শীত আসে। নিম্নচাপের কারণে তা হয়তো পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শীত আসবেই। তাতে যারা উচু বাড়িতে থাকেন তাদের সমস্যা হবে।


উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল নাগাদ রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্পে বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআইয়ের তরফে জেলা পুলিসকে ঘটনাটিকে সুইসাইডাল হ্যাংগিং বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সিবিআইয়ের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাবে বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান উপেন বিশ্বাস। গত ৪ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গোপনসূত্রে সিবিআইয়ের কাছে খবর ছিল ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের একটি গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে তুলে এনে রামপুরহাটের বাইরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখে সিবিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লালন শেখের দিদি ও স্ত্রীর দাবি, লালনকে এমন মারধর করা হয়েছিল যে সে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিল না। ফলে ওই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)