Baguiati: নাগেরবাজারের বাড়িতে তন্ত্রসাধনা, পাচারচক্র? পলাতক মূল অভিযুক্ত
এই পলাতক সৌরভ চৌধুরিই কর্ম কাণ্ডের মূল পাণ্ডা বলে জানতে পেরেছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। জেরায় ধৃতরা আরও দাবি করে, বছর দেড়েক আগে গুরুজি ( সৌরভকে গুরু জি বলে ডাকা হয়) হরিণের চামড়ার, সিং মাথার খুলি এইসব নিয়ে এসেছিল। ডানলপের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সেগুলো আনা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধৃতরা দাবি করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়িতে বাঘনখ, হরিণের চামড়া, মানুষের খুলি! নাগেরবাজারে জোড়া বাড়ি ঘিরে ঘনীভূত রহস্য। বন দফতর ও পুলিসের অভিযানে উদ্ধার পাখির কঙ্কাল, জীবজন্তুর চামড়া। নাগেরবাজারের বাড়িতে চলত তন্ত্রসাধনা! আড়ালে কি পাচারচক্র?বন্যপ্রাণ আইনে মামলা। খোঁজ নেই মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত তিন। হরিণের চামড়া দিয়েছিলেন সৌরভ, দাবি ধৃত দুলালের পরিবারের।
আরও পড়ুন, Baguiati: তন্ত্রসাধনার আড়ালে পাচারের ছক! বাগুইআটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার খুলি, হরিণের চামড়া-বাঘনখ
এই পলাতক সৌরভ চৌধুরিই কর্ম কাণ্ডের মূল পাণ্ডা বলে জানতে পেরেছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। জেরায় ধৃতরা আরও দাবি করে, বছর দেড়েক আগে গুরুজি ( সৌরভকে গুরু জি বলে ডাকা হয়) হরিণের চামড়ার, সিং মাথার খুলি এইসব নিয়ে এসেছিল। ডানলপের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সেগুলো আনা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধৃতরা দাবি করে। বৃহস্পতিবারই ধৃত তিনজনকে তোলা হবে আদালতে। পলাতক গুরুজি ওরফে সৌরভ চৌধুরির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য এদিন আদালতে আবেদন জানাবে বনদফতর। এমনকী চোরা চালানের সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
পুলিস সূত্রে খবর, যে বাড়িতে ওইসব জিনিস মজুত ছিল সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রী থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। একইসঙ্গে তিনি পুলিসকে জানান, যে বাড়িতে তাঁর স্বামী থাকেন সেখানে হরিণের শিং, চামড়া, বাঘের নখের মধ্যে জিনিস মজুত করা হয়েছে। ওই খবর পাওয়ার পর বুধবার সন্ধেয় ডিএফও-র নেতৃত্বে বন দফতর ও পুলিস যৌথভাবে ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়। এরপরেই সামনে আসে এই ঘটনা। ধৃতের এক প্রতিবেশী বলেন, শুনেছি উনি হাত দেখতেন। রাস্তায় দেখা হলে কুশল বিনিময় হতো। গত ৪০ বছর ধরে ওদের দেখছি।
আরও পড়ুন, New Town: নিউটাউনে ভুয়ো কলসেন্টার নাকা তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল টাকা, বাজেয়াপ্ত গাড়ি-বন্দুক