সৌমেন ভট্টাচার্য ও বিক্রম দাস: বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্করের খুনের ঘটনায় এখনওপর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। যে গাড়িতে অতনু ও অভিষেককে অপরহণ করে খুন করা হয় সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে অভিজিত্ বোস নামে এক যুবক। তার বাড়ি হাওড়ায়। তাকে জেরা করেই ওই গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়। কেষ্টপুর থেকে গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গাড়িতেই দুই ছাত্রকে অপহরণ ও বাসন্তী হাইওয়ের উপরে তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে। গাড়িটি কার নামে রয়েছে তা খোঁজ খবর করে দেখছে পুলিস। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি এখনও পলাতক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Baguiati Student Abduction and Murder: কিছুই করেনি থানা! বাগুইআটির ছাত্র অপহরণ ও খুনে গুরুতর অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে


সত্যেন্দ্র চৌধুরির বাড়িতে আজ ভাঙচুর চালায় এলাকার মানুষজন। পুলিস বিক্ষোভ থামাতে গেলে তাদের ঘিরে ঘরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সত্যেন্দ্র চৌধুরির বাড়ি বিহারের সীতামারিতে। আনুমানিক বয়স ২৬ বছর। গত কয়েকবছর ধরে এই এলাকায় থাকত সত্যেন্দ্র। অতনুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের তার ছোটো একটি মোটর পার্টসের দোকান রয়েছে। অতনুদের বাড়ির পাড়াতে শ্বশুরবাড়ি তার। স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে অতুনদের পাশে সবুজ পল্লিতে থাকতো সে। বছর চারেক আগে প্রেম করে বিয়ে হয় অতনুদের পাড়ায়। সেই সূত্রে এই পাড়াতে আসা যাওয়া। অতনুর সঙ্গেও মেলামেশা ছিল। এলাকার মানুষজনের দাবি, কথাবার্তায় অত্যন্ত ভদ্র। অল্পবয়সী ছেলেদের বাইক কিনে দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নিত। এছাড়া মোটা সুদ দেওয়ার নামে অনেক কাছ থেকে টাকাও ধার নিত। অভিষেক নস্করের মায়ের দাবি, ২২ আগস্ট রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অভিষেক তার মাকে জানিয়েছিল সে দাদার সঙ্গে বাইক কিনতে যাচ্ছে। সেই বাইক কিনে দিতেই সম্ভবত অতনু ও অভিষেককে বাসন্তী হাইওয়েতে নিয়ে গিয়ে খুন করে সত্যেন্দ্র।


ধৃত অভিজিত্ বোসের বাড়ি হাওড়ায়। অভিজিতের পাড়ার লোকজনের দাবি, বিবাহিত অভিজিত্ থাকতেন বাগুইআটিতে। মাঝে মধ্যে হাওড়ার বাড়িতে আসতেন। সেখানে থাকেন তার মা। এলাকায় তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। তালিকায় রয়েছে ল্য়াপটট চুরি, মন্দিরে চুরির মতো ঘটনা। তবে এতবড় কাণ্ডের সঙ্গে যে অভিজিত জড়়িত থাকতে পারে তা এলাকার মানুষজন ভাবতে পারছেন না। তার মাকে জেরা করছে পুলিস। 


ডিসি ডিডি বিধাননগর বিশ্বজিত্ ঘোষের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, কতটা গুরুত্ব দিয়ে পুলিস ওই অপহরণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করেছিল? গত ২২ আগস্ট দুই কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করতে গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, পুলিসের তরফে বলা হয়েছে ২৪ আগস্ট তারা অভিযোগ পান। প্রশ্ন উঠছে যেখানে ২৩ আগস্ট একটি দেহ উদ্ধার হল, পরের দিন আরও একটি দেহ পাওয়া গেল। বিধাননগর পুলিস জানতে পারল না? ১৪ দিন পর পুলিস জানতে পারল যে ওই দুই ছাত্র খুন হয়ে গিয়েছে? 


এদিকে, আজ আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এসেছে। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ অতনুর মাসতুতো দাদার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে বলা হয়, বডি পেয়েছিস? বডি যেখানে ফেলেছি সেখান থেকে তুলে নে। 
  
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)