ব্যুরো: দোসরা সেপ্টেম্বর বনধ ঠেকাতে আরও সক্রিয় হল প্রশাসন। গোটা কলকাতা মুড়ে দেওয়া হল পুরসভার বনধ বিরোধী হোর্ডিংয়ে। রাস্তায় নামলেন মন্ত্রী। অন্যদিকে বনধ সমর্থকদের দাবি, ভয় পেয়েছে সরকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনধের সমর্থনে কলকাতার বুকে এধার-ওধার দেওয়াল লেখা। বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাওয়া পোস্টার। বনধ সমর্থকদের মাঝেমধ্যে রাস্তায় নেমে মিছিল। তার থেকে বনধ ঠেকাতে  বরং অনেক বেশি সক্রিয় শাসকদল। অথবা বলা ভাল প্রশাসন। কলকাতা মুড়ে দেওয়া হয়েছে পুরসভার একটা হোর্ডিংয়ে। বনধ না করার আবেদন। পুরসভার তরফে বনধের সরাসরি বিরোধিতায় হোর্ডিং  সম্ভবত এই প্রথম। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। দোসরা সেপ্টেম্বর সাধারণ ধর্মঘট। এক এবং পাচ ছুটি নিতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। বনধের দিন অফিসে না এলে বেতনে কোপ পড়বে। এমনকি কর্মজীবনেও ছেদ পড়বে। এই বিজ্ঞপ্তি আগেও জারি হয়েছিল। কিন্তু আগে-পরে ছুটি বাতিল, এই প্রথম। বনধের বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন রাস্তায় নেমে মিছিল করছে, এছবিও প্রতিবারের ছবি নয়। 


আর সরকারের তরফে এই উদ্যোগ দেখে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দাবি, ভয় পেয়েছে সরকার। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বনধের ডাক। বনধের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বনধ রুখতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশকিছু দাবির সমর্থক হলেও বনধের বিরোধী। আর তাই, এরাজ্যেও বনধ রুখতে সক্রিয় প্রশাসন। 


অতীতের বনধ কখনও সফল, কখনও ব্যর্থ। বাস চললেও লোক থাকে কম।সরকারি অফিসে হাজিরা ভালো। কারখানায় সেই তুলনায় শ্রমিকদের উপস্থিতি থাকে কম। এবার কী হবে? শক্তির বিচারে ভোটে হেরে যাওয়ার পর বাম নেতৃত্ব অনেকটাই দুর্বল। বরং অনেক বেশি সবল শাসকদল। তাই মুখে যাই বলুক না কেন, নেতারা কিন্তু তাকিয়ে রয়েছেন মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের দিকেই।