নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্ককের ভাসমান বাজারে এবার পাটুলির ঝিলে। নৌকাতেই বসবে বাজার। সেখানেই মিলবে মাছ থেকে শাক সবজি। সামনের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই  শেষ হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। সৌজন্যে কলকাতা পুরসভা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সময়টা ২০১৩। ব্যাঙ্কক বেড়াতে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকেই মাথায় আসে ভাসমান বাজারের কনসেপ্ট। ঝড়ের গতিতে খুঁজে ফেলা হয় জায়গা।  পাটুলি ঝিলকেই নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার চিন্তা শুরু হয়ে যায়। সেইসময় পাটুলি বাজার সম্প্রসারণ নিয়েই কিছুটা সমস্যা পড়েছিল রাজ্যসরকার। মিলছিল না ২২৫ জন বিক্রতার পূর্ণবাসনের জায়গা। বাজার সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করেই পাটুলি ঝিলকেই  বেছে নেওয়া হয় বাজার সম্প্রসারণের কাজে।


আরও পড়ুন- বুড়ো-আঙুল! জীবনের দিশা দেখাচ্ছেন প্রবীণ নাগরিকরাই


যেমন ভাবনা। তেমন কাজ। যে ঝিলে পাটুলি-বৈষ্ণবঘাটার উপনগরী নিকাশির জল জমা হত সেই ঝিলই সেজে উঠছে নতুন সাজে।



বাজারে থাকবে ১১৪টি নৌকা। সেই নৌকাতেই বসবে বাজার। গোটা ঝিলে কাঠের পাটাতন করা হচ্ছে। প্রকল্পের খরচ সাড়ে ৯ কোটি টাকার। জল পরিষ্কারের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে বিশেষ মেশিন। পুকুরের ধারে থাকছে ক্যাফেট এরিয়া, সুলভ শৌচালয়। পুকুরের জলে ছাড়া থাকবে নানা ধরনের মাছ। পুকুরের চারপাশে থাকছে সুসজ্জিত বসার জায়গাও। সকাল বিকেল দুবেলাই খোলা থাকবে এই বাজার।


আরও পড়ুন- ডেঙ্গি সেভাবে ছড়ায়নি, অপ্রচার চলছে, দাবি কলকাতার মেয়রের


নৌকা বানানোর বরাত পেয়েছে হুগলির বলাগড়। হুগলির বলাগড় নৌকা নির্মাণ শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু কয়েকবছর ধরেই ধুঁকছিল এই শিল্প। সরকারি  সিদ্ধান্তে হাসি ফুটেছে  নৌকা বানানোর কারিগরদের।


২০১৮ এর ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে ভাসমান বাজার তৈরির কাজ। তারপর ভাসমান বাজারেই বাজার সারতে পারবে পাটুলিবাসী। বেড়ানো বাজার দুটোই হবে একসঙ্গে। মানে রথ দেখা ও  কলা বেচা একই সঙ্গে।