ওয়েব ডেস্ক: একদিকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ। অন্যদিকে, অতীতের ভুল শুধরে এগোনোর প্রস্তুতি। বরানগরে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় এই কৌশলই স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএম নেতারা। ক্ষমা দিয়ে শুরু। অতীতে যা ভুল করেছেন তার জন্য প্রকাশ্যেই ক্ষমা চাইলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আর তারপরেই শুরু তীব্র আক্রমণ। শুধু সরকার না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা।  
বারোই জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্সে জমায়েত সিপিএমের। দাবি, সারদায় জড়িত সকলেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তৃণমূল হঠানোর ডাক। কিন্তু পথ কী হবে? গৌতম দেবের কথায় জোটের সুর।
অন্যদিকে, শিল্প চাই, কাজ চাই, এই স্লোগানকে সামনে রেখে সিঙ্গুর থেকে শালবনি পদযাত্রার ডাক দিয়েছে বামেদের গণসংগঠন বিপিএমও। নেতৃত্বের দাবি, সন্ত্রাসের কারণে গত চার বছরে বহু এলাকায় ঢুকতে পারেননি বাম কর্মী-সমর্থকেরা। মূলত  সেইসব এলাকায়  পদযাত্রা। ষোলো জানুয়ারি শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে বাইশে জানুয়ারি পর্যন্ত । দু হাজার ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্য  কর্মী সমর্থকদের আরও উজ্জীবিত করা। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে   সাত দিনব্যাপী পদযাত্রার ডাক দিয়েছে বিপিএমও। সিঙ্গুর থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা শেষ হবে শালবনিতে। ১৬ জানুয়ারি সিঙ্গুরের সানাপাড়ায় সমাবেশ, বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, শ্যামল চক্রবর্তী। ১৮ জানুয়ারি আরামবাগের মুথাডাঙা, বক্তা সূর্যকান্ত মিশ্র। ১৯ জানুয়ারি
আরামবাগের কামারপুকুর। বক্তা মহম্মদ সেলিম। চন্দ্রকোনা থেকে কেশপুর। বক্তা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। ২২ জানুয়ারি শালবনি। বক্তা শ্যামল চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।  
পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। সেকারণে সাংগঠনিক দিক থেকে ঝিমিয়ে থাকা এলাকাগুলিকে উজ্জীবিত করাই পদযাত্রার লক্ষ্য। পাশাপাশি  বুথ ভিত্তিক অভিযানের ডাক দিয়েও ওয়ার্ম আপও সেরে নিচ্ছেন বাম নেতারা।