নিজস্ব প্রতিবেদন: সময় দুপুর ১২টা ১০। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দিয়েছিল হাসপাতালের সমস্ত গেট। ভেতরে তখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। পুলিসে ছয়লাপ গোটা হাসপাতাল চত্বর। চিকিত্সক, নার্সরাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজে হাত লাগান। সামনের মাঠে রোগীদের পরিবার কার্যত বন্দি। বাইরে যাওয়া মানা। কান্নাকাটি, ছুটোছুটিতে হইহই কাণ্ড হাসপাতালের ভিতরে। ছুটোছুটি করছেন হাসপাতালের কর্মীরা। গেটের বাইরেই আটকে দেওয়া হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। ছবিটা বিসি রায় শিশু হাসপাতালের। তবে কী কোনও খবর চাপা দেওয়ার চেষ্টা? ঠিক কী হয়েছিল এদিন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পুরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচনের মডেল হতে পারে JU-র ছাত্রভোট, দেখে শেখা উচিৎ রাজ্যের: ধনখড়


মঙ্গলবার দুপুরে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায় বিসি রায় শিশু হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে (NICU)। সঙ্কটজনক সদ্যজাতদের রাখা হয় এখানেই। সেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই আগুন ছড়ায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দ্রুতই ফাঁকা করে দেওয়া হয় শিশুদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। ১৯টি শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তখনই।


সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে সি প্যাপ মেশিন থেকে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। যদিও হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ইনটেনসিভকেয়ার ইউনিট থেকে কৃত্রিম উপায়ে ধোঁয়া বের করা হয়। হাসপাতালকে বিপদমুক্ত করে ফের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শিশুদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


পরে সাংবাদিকদের নিজের ঘরে ডেকে প্রিন্সিপাল সনত্ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, "১২.১০ নাগাদ নিকুর ভিতরে একটি সি প্যাপ মেশিন থেকে ধোঁয়া এবং ফুলকি বের হতে দেখা যায়। নিকু সম্পূর্ণ ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সকলেই ভয় পেয়ে যান। আমরা দ্রুত নিকুর ১৯টি শিশুকে পাশের ওয়ার্ডে সরিয়ে ফেলি। ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। নিকুর ভেতর থেকে সমস্ত ধোয়া বের করে তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে বিকেলে শিশুদের ফের ভিতর রাখা হয়েছে।" তবে তৎপরতার সঙ্গে আগুনের মোকাবিলা করলেও প্রথমে কেন সেই আগুনের খবর চাপতে চাইল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।