নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মহত্যা নাকি খুন! নেপথ্যে দানা বেঁধেছে রহস্য। কারণ, মৃত্যুর আগে যা যা ঘটনা ঘটেছে মাত্র ৩০ মিনিটে তা ভাবাচ্ছে পরিবারকে। সই তথ্য পুলিসের হাতে তুলে দিতেই খুনের সম্ভাবনাকেও এড়িয়ে যেতে পারছে না পুলিশ। মৃত ব্যক্তি পর্ণশ্রীর প্রমোটার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইদানিং খুব একটা বাড়ি থেকে বেরোতেন না প্রমোটার  ইন্দ্রজিৎ দাস। কারণ ২০১৭ সালে তিনি বিরাট দুর্ঘনার মধ্যে দিয়ে যান, সে সময় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই ভালো ভাবে হাঁটাচলা করতে পারতেন না ওই ইন্দ্রজিৎ বাবু। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটের তিন তলায় থাকতেন তিনি। 
বাড়ির মধ্যেই অল্প চলা ফেরা করতেন। কালেভদ্রে বাইরে বের হতেন।


আরও পড়ুন: বাঙালির মন জয়ে ষষ্ঠীতে বোধন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে?


শুক্রবার মেয়েদের লেখাপড়ার কিছু জিনিস কিনতে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে। বাড়িতে একা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ বাবু।তাঁকে জলখাবার দিয়ে যান স্ত্রী। আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরেও আসেন তাঁরা। বাড়িতে ঢুকতেই দেখেন ঘরে নেই বাবা। চার তলার ঘরে গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে বাবা। তখনও ইন্দ্রজিৎ বাবুর শরীরে প্রাণ ছিল। সকলে মিলে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করে। বড় মেয়ে জানিয়েছে, বাবা কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিল তাঁকে। কিন্তু বলা হয়ে ওঠে না। তার আগেই মারা যান বাবা। 


আরও পড়ুন: তৃতীয়া থেকে খুলছে মণ্ডপ, বাংলায় নিউ নর্মালে পুজোর নিয়ম জেনে নিন


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিস জানতে পারে, যখন স্ত্রী ও দুই মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় তখন বাড়ির পোশাকে ছিলেন ইন্দ্রজিৎবাবু। তাঁরা যখন ফিরে এসে তাঁকে ওই মারাত্মক অবস্থায় দেখেন, তখন ইন্দ্রজিৎবাবু পরে ছিলেন জিন্স ও টি শার্ট। অথচ তাঁর বাইরে বের হওয়ার কোনও কথা ছিল না। তাঁর পক্ষে ভারী কাঠের চেয়ার চাল তলায় নিয়ে যাওয়ার খুব একটা সহজ ব্যাপারও ছিল না। অন্যদিকে, মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যে পোশাক বদলে, ভারী  চেয়ার নিয়ে চার তলায় উঠে, স্ত্রীর শাড়ি কেটে তাতে গিঁট দিয়ে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া কি আদৌ সম্ভব ইন্দ্রজিৎ বাবুর পক্ষে? ভাবাচ্ছে পুলিসকে। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।