ওয়েব ডেস্ক: ভোটের ডিউটিতে হাসপাতাল থেকে পাঠাতে হবে একশো বিয়াল্লিশ জন কর্মীকে। কমিশনের এই নজিরবিহীন নির্দেশে বিপাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। চিকিত্সা পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে কমিশনে মেল পাঠিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খতিয়ে দেখার আশ্বাস কমিশনের। সুষ্ঠু ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কমিশন। প্রশাসনকে কড়া নির্দেশিকা, পুলিস সুপার, আমলাদের বদলি, সবই চলছে। এবার যুক্ত হল এক নজিরবিহীন নির্দেশ। পনেরোই মার্চ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে একটি নির্দেশনামা এসে পৌছয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছে।


নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ, ভোট গ্রহণ এবং গণনা মিলিয়ে মোট পাঁচদিন হাসপাতালের একশো বিয়াল্লিশ জন কর্মীকে প্রয়োজন তাঁদের। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
চিকিত্সক, নার্স বাদে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা একশো আশি। তার মধ্যে একশো বিয়াল্লিশ জনকে ছাড়তে হলে চিকিত্সা পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে কমিশনে ই-মেল পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। কোনও হাসপাতাল বন্ধ হোক, এটা কমিশন চায় না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার।