নিজস্ব প্রতিবেদন : "পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে আর মুখ্যমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে চিন্তিত। নিরোও অনুপ্রাণিত হবে!" রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৃণমূল সরকার ব্যর্থ বলে এইভাবেই কটাক্ষ করল রাজ্য বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশ্মীর নিয়ে চিন্তিত। পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় যে তাণ্ডব চলছে তাকে ছাড়া, তাঁর আর সব বিষয় নিয়ে টুইট করার সময় রয়েছে। নিরোও এটা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন!" (ইতিহাস বলে, রোম নগরীতে যখন আগুন জ্বলছিল, তখন রোমান সম্রাট নিরো নাকি নিজের প্রাসাদে বসে বেহালা বাজাচ্ছিলেন।)


প্রসঙ্গত, এদিন সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার গৃহবন্দি দশার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই জনসুরক্ষা আইনের আওতায় ফারুখ আবদুল্লার গৃহবন্দি দশার মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হয়। সেই প্রসঙ্গেই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।  আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এঘটনা ঘটছে। এটা অসাংবিধানিক।"



এরপরই বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিশানা করা হয় তৃণমূল নেত্রীকে। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল থেকেই হিংসার ঘটনা ঘটছে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও কৃষ্ণপুরে আজ ৪টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ট্রেনচালক ও রেলকর্মী। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।


আরও পড়ুন, কৃষ্ণপুরে দাউ দাউ করে জ্বলছে ৪টি ট্রেন,লালগোলা স্টেশনে আগুন,সাঁকরাইলে ভাঙচুর


এই অবস্থার প্রতিবাদে পাল্টা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ২ জায়গা থেকে এই মিছিল বের হবে। একইসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে এক আবেদন বার্তায় বলা হয়েছে, "আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োজনে প্রয়োগ করুন। তবে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।"