জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৩,৫০০ কোটি টাকার মদ। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ মদ বিক্রি দেখেছে বাংলা। ডিসেম্বর ছিল এই ক্ষেত্রে রেকর্ডের মাস। শুধু ডিসেম্বর মাসেই ২,৩৫০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল রাজ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন রাজ্য আধিকারিক উল্লেখ করেছেন যে জাতীয় ক্ষেত্রে আবগারি ক্ষেত্রের উন্নতি নিঃশব্দ হলেও বাংলায় মদের বিক্রির বৃদ্ধি রেকর্ড ছিল। এই ক্যালেন্ডার বছরে মদ শিল্প থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৮,৫০০ কোটি টাকার বেশি এসেছে যা নিজেও একটি রেকর্ড।


সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে ২০২২ সালে মোট মদ বিক্রির পরিমাণ ছিল ২১,০০০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে রাজ্যের এক্সাইজ ডিউটি থেকে আয় হয়েছিল ১৫,০০০ কোটি টাকা।


ইন্টারন্যাশনাল স্পিরিটস অ্যান্ড ওয়াইনস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (ISWAI) সিইও নীতা কাপুর, বলেছেন যে ২০২২ সালে ভারতে স্পিরিট শিল্পের সামগ্রিক বৃদ্ধি সেরকম ছিল না। তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সাল ২০২২-এর মতো একই স্তরে ছিল না। এটি দেখেছে একটি নিঃশব্দ বৃদ্ধি। কিন্তু বাংলা, যেটি ২০১৯ সাল থেকে একটি সুস্থ বৃদ্ধির সাক্ষী হয়ে আসছে, ২০২৩ সালে একটি ভাল বৃদ্ধি পেয়েছে’।


আরও পড়ুন: Sujoykrishna Bhadra: তদন্ত এড়াতে দিনের পর দিন বেড দখল? সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের!


দুর্গা পুজার পাঁচ দিনে বাংলার মদ বিক্রি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আগের বছর এই সময়ে মদ বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি যা এই বছর একই সময়ে বেড়ে হয় ৬০০ কোটি। পুজর সময় মদ বিক্রির বৃদ্ধি ছিল ৫-৬ শতাংশ। জানা গিয়েছে অন্য যেকোনও সাধারণ সময়ে পাঁচ দিনের মদ বিক্রির পরিমাণ নেমে আসে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকায়।


অর্থবর্ষ হিসেবে দেখলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলায় ২২,০০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। ২০২১-২২ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৮,০০০ কোটি। গত ফিস্কালে প্রথমবার বাংলায় মদ বিক্রির পরিমাণ ২০,০০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। ২০২২-২৩ সালে বিয়ারের বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৪,০০০ কোটি। ২০২১-২২ সালে এর পরিমাণ ছিল ১,৭০০-১,৮০০ কোটির মধ্যে। এর ফলে মদ বিক্রির ক্ষেত্রে বিয়ারের পরিমাণ ২০২১-২২ সালের ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ সালের মধ্যে হয় ১৮ শতাংশ।


আরও পড়ুন: Sujoykrishna Bhadra: খাটল না কোনও জারিজুরি, কোর্টের নির্দেশে রাতেই ইডির কব্জায় 'কাকু'-র স্বর


২০১৪-১৫ সালে রাজ্যের আবগারি রাজস্ব ছিল ৩,৫৮৭ কোটি। এই পরিমাণ ২০২২-২৩ সালে বেড়ে হয় ১৬,০০০ কোটি টাকা। এক আবগারি কর্তা জানিয়েছেন, ‘জিএসটি চালু হওয়ার পরে, রাজ্যের খুব কম ক্ষেত্র অবশিষ্ট রয়েছে যা রাজস্ব তৈরি করে। মানুষ যাতে অবৈধ মদ পান করতে বাধ্য না হয় তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশীয় মদ উন্নত করা হচ্ছে’।       


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)