বন্ধ হচ্ছে বেঙ্গল কেমিক্যাল
বাঙালির শিল্পায়নের ইতিহাসে ইতি। বেঙ্গল কেমিক্যালের ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংস্থার MD-র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সার ও রসায়ন মন্ত্রক।
ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির শিল্পায়নের ইতিহাসে ইতি। বেঙ্গল কেমিক্যালের ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংস্থার MD-র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সার ও রসায়ন মন্ত্রক।
আমরাও পারি। এটা প্রমাণ করতেই বিজ্ঞান ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। পরাধীন ভারতে সালটা ছিল উনিশশো এক। আপার সার্কুলার রোডের ভাড়াবাড়িতে ৭০০ টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু। ১৯০৫ সালে মানিকতলায় প্রথম কারখানা তৈরি করে বেঙ্গল কেমিক্যাল। খুব তাড়াতাড়ি বাজারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফিনাইল, ন্যাপথলিন এবং প্রসাধনী। আড়েবহরে বাড়ে যন্ত্রনা।
আরও পড়ুন- রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরবর্তী গভর্ণর উর্জিত প্যাটেল
বেঙ্গল ক্যেমিকালের সোনার ইতিহাস এক ঝলকে-
১৯২০ সালে পানিহাটিতে কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৩৮ কালে বম্বেতে কারখানা খোলে বেঙ্গল কেমিক্যাল।
১৯৪৯ সালে কানপুরে কারখানা খোলে বেঙ্গল কেমিক্যাল।
একাধিক রাসায়নিক দ্রব্য ও ওষুধ তৈরিতে হাত পাকায় বেঙ্গল কেমিক্যালস। কিন্তু ছয়ের দশক থেকেই কোম্পানির পতন শুরু হয়। আটের দশকের গোড়ায় কোম্পানি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তিরিশ বছর পরে এই অলাভজনক সংস্থা আর চালাতে রাজি নয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- পুলিসকর্মীর পেট থেকে বেরোল চল্লিশটি ছুরি
সার ও রসায়ন মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি চিঠি পাঠিয়েছেন বেঙ্গল কেমিক্যালের MD-র কাছে। অবিলম্বে সংস্থার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব কষে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।