নিজস্ব প্রতিবেদন- রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সোনাচূড়ায় পৌঁছন এবং শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারি ভোরের আলো ফোটার আগে শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানও সেরে ফেলেন তিনি। ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু। আর এসবই তিনি করেছেন বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে। তবে শুভেন্দুর এইসব কার্যকলাপকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে বহু সাধারণ মানুষ হাজির হয়েছিলেন। শুভেন্দু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি নন্দীগ্রামে আগেও এসেছেন, আবারও আসবেনব। আর কোনওবারই তিনি রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আসবেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই নন্দীগ্রামের শহিদদের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানিয়ে দেন, তৃণমূল আজকের এই দিনে সম্মানের সঙ্গে শহিদদের স্মৃতিচারণ করছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর মানুষের পাশে সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। বাকি যাঁদের এখন সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই গিয়েছেন। প্রসঙ্গত উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারীর নামও। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, তৃণমূলের প্রাক্তন নেতার দাবির পাল্টা দেওয়ার প্রয়োজন তাঁরা মনে করছেন না। কারণ বাংলার মানুষ জানে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের জন্য কী কী করেছেন! ফলে কারও দাবিতে কিছুই আসে যায় না।


আরও পড়ুন-  'ভুল বুঝবেন না,' অবাঙালি শিল্পপতিদের 'বহিরাগত' ব্যাখ্যা Mamata-র


ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলার মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। তিনি জানান, সামগ্রিকভাবে বিজেপির ভোট ৬৬ শতাংশ কমেছে। তিনি বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির ভোটের হারের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১১ সালে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে। তিনি এদিন বলেছেন, ''অন্য রাজ্যে শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃযকদের। কিন্তু আমাদের রাজ্যে বাংলার সরকার এই প্রিমিয়াম দেয়। ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদেরর উপার্জন দ্বিগুণ হবে, এমনই বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হিসেব বলছে, ২০২৮-এর আগে কখনওই কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে না। এদিকে বাংলার কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে তৃণমূল আসার পর। ২০১১ সালে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯০ হাজার। সেটা এখন ২ লাখ ৯০ হাজার হয়েছে। কৃষক বন্ধু স্কিম আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছে। সেখানে শুধু প্রান্তিক বা ছোট চাষি নয়, সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। একর প্রতি কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ১৮ বছরের থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষক মারা গেলে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এটাই আমাদের কৃষক বন্ধু স্কিম। এমন সুবিধা কেন্দ্রীয় সরকারও দেয় না।''