নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজো অনুদান নিয়ে আপাতত কোনও অস্বস্তি বা বিড়ম্বনা রইল না রাজ্য সরকারের। পুজো অনুদান বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও। মামলাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্, পুজো অনুদান মামলায় আপাতত সুপ্রিম কোর্টেও জয় হাসিল করল রাজ্য। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের পর রাজ্যের ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, শীর্ষ আদালতে এখনই এই মামলাটি খারিজ হয়ে যাচ্ছে না। রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কী কারণে এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে তা রাজ্যকে জানাতে হবে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে লিখিত জানাতে হবে যে কী কারণে এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ৬ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে। ফলে আপাতত পুজো অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা না থাকলেও, বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।


প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৮ হাজার ক্লাবকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরই জনগণের টাকা নিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু বুধবার সওয়াল-জবাবের পর জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। আর্থিক বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত-ই চূড়ান্ত। আইনসভা যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত-ই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। আইনসভার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। এই যুক্তিতে মামলাটি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়।


পাশাপাশি হাইকোর্ট আরও বলে, আইনসভার সিদ্ধান্তে নাক গলানোর অধিকার জনগণের নেই। হাইকোর্টের মতে, টাকা জনগণের হলেও রাষ্ট্র কোনও সিদ্ধান্ত নিলে, সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যেককে মানতে হবে। রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতি ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলা হলে, রাষ্ট্রের সঙ্গে জনসাধারণের  বিশ্বাসের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তা হতে দেওয়া যায় না। তাই রাজ্যের সিদ্ধান্তে আদালত নাক গলাবে না। টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, সেটা পরে বিবেচনা করে দেখা হবে। আপাতত মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ নয়।


আরও পড়ুন, আজই খুলছে মাঝেরহাটের নতুন রাস্তা, শুরু হচ্ছে গাড়ি চলাচল


হাইকোর্টের এই রায়ের পরই বুধবার রাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরই বৃহস্পতিবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। এদিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি।