কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের ডানা ছাঁটলেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মুকুলের সঙ্গে ঐ পদে সুব্রত বক্সিকে জুড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা।  জাতীয় স্তরেও দলের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন নেত্রী। কোথাও নেই মুকুল। দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া গেল না একসময়ের শ্রেষ্ঠ সেনাপতিকে। জাতীয় স্তরে নতুন মুখ হিসেবে উঠে এলেন মন্ত্রী ববি হাকিম ও সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি হলেন দীনেশ ত্রিবেদী।


কেরল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে এলেন সাংসদ ডেরেক।


ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
    
অসমের দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারী।


আজ কলকাতায় থেকেও মমতাকে এড়ালেন মুকুল। মমতার ডাকা তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত মুকুল রায়। তার দাবি, অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বৈঠকে থাকছেন না তিনি। এই বিষয়ে তিনি দলকে জানিয়েছেন বলেও দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।


কালীঘাটের বাড়িতে দলের সব জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে তৃণমূল, তার ওপর রাজ্যে বিজেপির উত্থান, এই দুটি বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে পুরভোটে প্রস্তুতি প্রসঙ্গেও।


দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুকুল রায় কেন নেই, সে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যেই। এরপরই ডানা ছাঁটা হল মুকুলের।


মুকুলকে সরানোর পক্রিয়া সম্বন্ধে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, "সারদা যোগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা"।


সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, "তৃণমূল হাইব্রিড দল। Short life। বেশি দিন দল টিকবে না। দলের মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পছন্দ মতই দল চলবে।" বিজেপি নেতা তথাগত রায় মনে করছেন, "তৃণমূল দল মমতার পৈতৃক সম্পত্তি। লেজে কাটবেন না মুড়োয় কাটবেন, তিনিই জানেন।"