নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে রাজ্যে ৭ শতাংশ এসেছে ঠেকেছে বামেরা। ধর্মঘট নিয়ে বলতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার ধর্মঘট কি আদৌ সফল করতে পারবে বামেরা? বাম নেতাদের গলায় প্রত্যয়ের সুর। বিমান বসু স্পষ্ট করেছেন, ধর্মঘট হচ্ছেই। সাধারণ মানুষকে বাজার করে রাখার বার্তাও দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।                    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, নাগরিকপঞ্জি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির বিরোধিতায় বুধবার ভারতজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। কৃষক সংগঠনগুলি তাদের সমর্থন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে বনধ সফল করতে রাস্তায় নামার কথা আগেই জানিয়েছে বামেরা। এদিন বিমান বসু বলেন,''আগামিকাল ধর্মঘট হচ্ছে, ধর্মঘট হবেই। জনগণের কাছে আবেদন করব, সকালের ও রাতের বাজার আজকে করে রাখবেন। নইলে অসুবিধা হবে। দোকান-বাজার সব বন্ধ থাকবে। ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিপথে চালিত হবেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধর্মঘট হবেই।''


আগামিকাল, বুধবার বামেদের ধর্মঘট ভেস্তে দিতে রাস্তায় নামছে বিজেপি। তৃণমূলও প্রতিরোধ গড়তে পারে। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রতিক্রিয়া,''যেই নামুক চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।'' 



ধর্মঘটের ইস্যুগুলিকে সমর্থন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘট করতে দেবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেছে বামেরা। একইসুরে দিলীপ ঘোষও কটাক্ষ করেছেন, মমতার ভরসায় সিপিএম বনধ করতে নেমেছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বনধকে সমর্থন করি না। যে কারণে বনধ ডাকা হয়েছে, সেনিয়ে সবার আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।


এদিন জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন বাম নেতারা। কলেক স্কোয়ার থেকে মিছিলে অংশ নেনে তাঁরা। যাদবপুর ক্যাম্পাসে মিছিল করে এসএফআই। হাজরা থেকে নিজামপ্যালেস পর্যন্ত হয় আর একটি মিছিল।


আরও পড়ুন- মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং? পরীক্ষা হোক, ঐশীর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের