নিজস্ব প্রতিবেদন: বনধে দিনভর সচলই রইল বাংলা। তবে, অবরোধের জেরে পথে নেমে ভোগান্তির শিকার হলেন মানুষ। বামেদের বিরুদ্ধে, গায়ের জোরে বনধ করানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বনধ সফল হয়নি। জনজীবন স্বাভাবিক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বামেদের বনধে সাড়া পড়েনি দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,''বনধ এখন কমিউনিস্টদের মনে। বাস্তবে কোনও বনধ নেই। রাস্তাঘাট সব খোলা। বনধ কালচারে মানুষ যেতে চায় না। সমাজ এগোচ্ছে।'' 


বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার কথায়, ''টায়ার পোড়ানো তো প্রায়ই হয়। দু-এক জায়গায় টায়ার পোড়ানো হলে বনধ সফল হয় না। জনজীবন একেবারে স্বাভাবিক ছিল।  অফিস-কাছারি খোলা। রাস্তাঘাটে বাসও চলেছে। আপনি লোককে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, কাদের বনধ মানুষ, কীসের জন্য? বনধ প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ। সারা বাংলায় জনজীবন স্বাভাবিক। কোথাও কিছু হয়নি।'' 



ধর্মঘটের ইস্যুকে সমর্থন করলেও, ধর্মঘট সমর্থন করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথার পর বনধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় নামেনি তৃণমূল। রাজ্য সরকার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আসানসোলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছাড়া তৃণমূলের অন্যান্য বড়-ছোট নেতাদের বনধে বিরুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। মোদী সরকারের নীতি শ্রমিক-কৃষক বিরোধী। এই অভিযোগে সারা দেশে বাম-ডান শ্রমিক-কৃষক সংগঠনগুলি বনধ ডাকে।সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জির মতো সংবেদনশীল ইস্যু জুড়ে দিয়ে সামিল হয়ে যায় বিভিন্ন অবিজেপি রাজনৈতিক দল। এই কৌশল নেওয়ার ফলে বাংলার নানা জায়গায় মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে হলেও ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাতে কিছুটা জোর পেয়ে তেতে ওঠেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সরকারি পরিবহণ রাস্তায় থাকলেও ট্রেন আটকানোর চেষ্টা হয়। বাসে ঢিল পড়ে। রাস্তায় নেমে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। শহর কলকাতা সহ জেলার নানা জায়গায় সিপিএমের বিরুদ্ধে বনধের সমর্থনে গা জোয়ারির অভিযোগ উঠেছে। নেতারাও যা মেনে নিতে বাধ্য হন।


আরও পড়ুন- ভিতরে ছিলেন প্রসূতি, অ্যাম্বুল্যান্স ঘোরানোয় দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ