মমতার আঁচলের তলায় লুকিয়ে বনধ সফল করতে চাইছে সিপিএম: দিলীপ
৮ জানুয়ারি NRC, CAA ও NRP-সহ বেকারত্বের প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে বনধ করতে চাইছে সিপিএম। মঙ্গলবার ঠিক এভাবেই বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে ব্যঙ্গ করলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''এটা আসলে বাম-তৃণমূলের অস্তিত্বের লড়াই। বাঁচার লড়াই নৈতিক না অনৈতিক সমর্থন কাল বোঝা যাবে।''
৮ জানুয়ারি NRC, CAA ও NRP-সহ বেকারত্বের প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। লোকসভা ভোটে ধাক্কার পর রাজ্যে বনধ সফল করা চ্যালেঞ্জ সিপিএমের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। স্পষ্ট বলেছেন, ইস্যুর প্রতি তাঁর সমর্থন রয়েছে, কিন্তু ধর্মঘট হতে দেবেন না। ধর্মঘটে রাজ্য সচল রাখতে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে মোদী-মমতা যোগের অভিযোগ করেছে সিপিএম। এদিকে আবার দিলীপ ঘোষের দাবি, মমতার ভরসায় ধর্মঘট সফল করার স্বপ্ন দেখছে বামেরা। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, মমতার আঁচলের তলায় লুকিয়ে বনধ করতে চাইছেন সিপিএম নেতারা। হুমকি দিচ্ছেন, সফল করে দিন। দিদি কতটা নম্র হবে তার উপরে সবটা নির্ভর করে। একইসঙ্গে বামেদের নবান্ন অভিযানে হাওড়ায় পুলিসের লাঠিচার্জের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''ডিওয়াইএফআই, এসএফআই-কে হাওড়ায় যেভাবে পালিস করেছেন, এখনও দাগ মেলায়নি। অনেকে হাসপাতালে রয়েছেন।''
বামেদের বনধকে দিলীপের কটাক্ষ, এমন করছেন ওনারাই দেশ চালাচ্ছেন। দুটি নির্বাচনে ৩৬ থেকে শূন্য হয়ে গিয়েছেন। আগের বনধ কবে ছিল, কবে বনধ গেল, বাংলার মানুষ জানতেই পারল না।দিদির কাছে আবেদন-নিবেদন করছেন বাম নেতারা। ওনারা বলছেন, সফল করে দিন। এটা আসলে বাম-তৃণমূলের অস্তিত্বের লড়াই। বাঁচার লড়াই নৈতিক না অনৈতিক সমর্থন কাল বোঝা যাবে।
জেএনইউ-কাণ্ডে পড়ুয়াদের উপরে হামলার নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল, সোমবার সুলেখা মোড়ে যাদবপুরের পড়ুয়াদের লাঠিপেটা করেছে তাঁর সরকারের পুলিস। সেই প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন,''উনি গণতন্ত্র রক্ষা করবেন! কাল ছাত্রদের উপরে লাঠি চালিয়েছে ওনার পুলিস।''
সিপিএম নেতৃত্ব আবার পালটা মমতা-মোদী যোগের অভিযোগ করেছে। বিমান বসুর কথায়, ''এনআরসি, এনপিআর সিএএ নিয়ে যতই মায়াকান্না করুন না আসলে উনি শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থ দেখতে চান না। কোটি কোটি বেকার যুবকযুবতীর চাকরির পাক, সেটা চায় না। আমরা ধর্মঘটকে সমর্থন করেছি।'' তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''আমরা বনধকে সমর্থন করি না। যে কারণে বনধ ডাকা হয়েছে, সেনিয়ে সবার আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।''
আরও পড়ুন- JNU-র পড়ুয়াদের পাশে দীপিকা, ঐশী-কানহাইয়া সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে 'ক্রান্তি'