নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত বনধে সকালে বেশ খানিকটা সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালাল বনধ সমর্থকরা। কোথাও সরকারি বাসের কাচ ভেঙে, কোথাও অটো ভেঙে বনধ করতে বাধ্য করা হয় সাধারণ মানুষকে। সাত সকালেই তা শুরু হয় বারাসতে।  বেলা গড়াতেই সেই ছবির ধরা পড়ল মল্লিকবাজারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বনধে দফায় দফায় রেল অবরোধ; শুনশান হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ শাখায় বহু জায়গায় দাঁড়িয়ে ট্রেন


সকালেই মল্লিকবাজারে বনধ করা নামে দাদাগিরি শুরু করে দেয় বন্ধ সমর্থকরা। মল্লিকবাজারে যেখানে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে সেখানে প্রতিটি দোকানে গিয়ে জোর করে শার্টার নামিয়ে দেন বনধ সমর্থকরা। এদিন বামেদের সঙ্গে ছিল আইএনটিইউসির কর্মীরাও। তাদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানদাররা।  জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদক এনিয়ে প্রশ্ন তুললে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ ধর্মঘটিরা। বিভিন্ন ধরনের কুকথাও বলেন।


ধর্মঘটিদের বক্তব্য, তাঁরা দোকানে দোকানে দিয়ে বনধ করতে অনুরোধ করছেন। বাস্তবে কিন্তু দেখা যান ভিন্ন চিত্র। প্রায় হুমকি দিয়েই তাঁরা দোকানের শার্টার নামাতে বাধ্য করছিলেন দোকানদারদারে। দোকান বন্ধ করতে রাস্তায় নামা এক ব্যক্তি বলেন, দোকানদারদের বলা হচ্ছে আপনাদের জন্য রাস্তায় নেমেছি আমরা।  দেশে কাজ নেই, একের পর এক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন।


আরও পড়ুন-ট্রাম্পের গর্জনই সার! ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল তেহরান


কিন্তু অনুরোধর ভাষা কী গালাগাল? হুমকি?  ধর্মঘটের সমর্থনের নামা এক ব্যক্তি জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে জানান, ‘অনেকদিন আগে থেকেই বনধের কথা বলা হয়েছিল।  আমরা অনুরোধ করে দোকান বন্ধ করার কথা বলছি। কাউকে জোর করছি না। ’  এর মধ্যেই জি ২৪ ঘণ্টা ও মিডিয়ার নামে আপত্তিকর কথা বলা হয়।



বনধকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের আচরণে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বছরে চারবার করে বন্ধ করে সিপিএম। ট্রেনের চাকার নিচে বোমা রেখে দেওয়া কোন আন্দোলন নয়। ওরা গুন্ডাগিরি করেছে। এরচেয়ে কেরালার সিপিএম অনেক ভালো। এখানে ওরা সাইনবোর্ড হয়ে গেছে। এখানে শাসক দল। তারপরও এখানে এই আন্দোলনের কি মানে। একে আন্দোলন বলে না।