তন্ময় প্রামাণিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছিলই। সামান্য উপসর্গ দেখা দিতেই চিকিৎসকের পরামর্শে করোনা পরীক্ষা করান ভবানীপুরের এক বৃদ্ধ। নমুনা জমা দিয়েই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ৭৫ বছরের ওই প্রবীণ। এনিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে রবীন্দ্র সরোবর থানায়। আর তারপরে যা প্রকাশ্যে আসে তার রীতিমতো হাড় হিম করা ঘটনা।


আরও পড়ুন-মহম্মদ সেলিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন চিকিত্সকরা
 
পুলিশ সূত্রে খবর, ৭৫ বছরের স্নেহময় ব্যানার্জি  নামে ওই প্রবীণের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। ভাড়া থাকেন ভবানীপুরের একটি বাড়িতে। স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর হল। একমাত্র মেয়ে থাকেন গুরুগ্রামে। কয়েকদিন আগে  জ্বর এবং অন্য অসুস্থতার কারণে তিনি চিকিত্সকের কাছে যান ও তাঁর পরামর্শ মতো করোনা পরীক্ষা করান। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানান। এরপরই বাড়িওয়ালার হুমকি, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এই বাড়িতে ফিরতে পারবেন না। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে বাড়িতে ফিরতে পারবেন। রিপোর্ট পজেটিভ হলে একেবারই ফেরা যাবে না।


জানা গিয়েছে সোমবার ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন তার করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে। সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, বিকেল চারটে এক মিনিটে তিনি হাসপাতালে ঢোকেন।  আর ৪টে ৩১ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ ছিল না। গুরুগ্রামে থাকা তাঁর মেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা পোস্ট করেন। তারপরই শুরু হয় তোলপাড়। 


বিষয়টি ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তারা সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর থানায় যোগাযোগ করেন। থানার তরফে  পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিখোঁজ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তার পরিবার।


আরও পড়ুন-করোনাকে হাতিয়ার করে লোক ঠকানোর ব্যবসা! ভুয়ো পরীক্ষার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায় ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। তারপরে খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ স্নেহময় ব্যানার্জির। কোথায় ছিলেন? সেই প্রশ্ন করতেই পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই অমোঘ সত্য। ভয়ে তিনি ফেরেননি তার ভাড়া বাড়িতে। অসুস্থ শরীর নিয়ে এই বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়।  সব মিলিয়ে পরিবারের কাছে এই ঘটনা যেমন স্বস্তি দিয়েছ, তেমনি চিন্তা বাড়াচ্ছে এই ধরনের সামাজিক স্টিগমা।