নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনকাল 'ভালো' নয়। দুদিন আগে তাই রাতে বেরনো নিয়ে সাবধান করেছিলেন প্রতিবেশীকে। দুদিন বাদে নিজের বাড়িতে ঘরের মধ্যেই ভরসন্ধ্যায় সস্ত্রীক খুন সেই অশোক শাহ। ভবানীপুরের (Bhowanipore) বাসিন্দা প্রৌঢ় গুজরাতি দম্পতি অশোক ও রশ্মিতা শাহ হত্যাকাণ্ডের (Double Murder) ঘটনায় এ যেন এক অদ্ভূত সমাপতন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অশোক শাহের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন একথা। তিনি বলেন, "আমি হোম ডেলিভারি করি। দুদিন আগে রাতেরবেলা, আমি যখন খাবার দিতে যাচ্ছি, তখন অশোক শাহ আমাকে ডেকে বলেন যে, দিদি এত রাতে বেরবেন না। দিনকাল ভালো নয়। সাবধানে থাকবেন।" তারপরই এঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ওই প্রতিবেশী। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাড়ি নিয়েও একটা সমস্যা চলছিল অশোক শাহদের। উনি বলেন, "ওনারা আর এইখানে থাকতে চাইছিলেন না। মাঝে আমাদের জলের সমস্যা হয়। তখনই বাড়ি বিক্রি করবেন ঠিক করেন। মাঝে মাঝে ব্রোকার আসত। ওনাদের চেনাজানারাই ব্রোকার নিয়ে আসত। বা আত্মীয় পরিজনরা লোক নিয়ে আসত। চার-পাঁচবার এসেছে। কিন্তু উনি যে রেট দিয়েছিলেন, তাতে ভিতরের পজিশনে কিনতে চাননি, যাঁরা কিনতে এসেছিলেন।"


প্রসঙ্গত, তদন্তে উঠে এসেছে ৬০ লাখ টাকার মত বাড়ির দাম রেখেছিলেন অশোক শাহরা। অন্যত্র উঠে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু একাধিক ব্রোকারের সঙ্গে কথাবার্তা চললেও, আশানুরূপ দাম পাচ্ছিলেন না। এখন প্রশ্ন উঠছে, ভবানীপুরে জোড়া খুনের ঘটনার পিছনে কি কোনওভাবে এই বাড়ি বিক্রি ও ব্রোকার আনাগোনার যোগ রয়েছে? তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আলমারি থেকে ৩০ হাজার টাকা, গয়না, মোবাইল সব উধাও। যদিও দুটি মিসিং মোবাইলের একটি চালু অবস্থায় আছে। আরেকটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যচ্ছে না।


প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতে ও পুলিসকে বিভ্রান্ত করতেই আততায়ীরা খুনের পর মোবাইলগুলি নিয়ে প্রথমে চম্পট দেয়। তারপর অন্য কোনও জায়গায় সেটি ফেলে দেয়। প্রসঙ্গত, এর আগে এলগিন রোডে ভাড়া থাকতেন অশোক শাহ ও তাঁর পরিবার। ১৯৯৮-৯৯ সাল নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে চলে আসেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, Bhowanipore Double Murder: পরিচিত মুখ দেখেই দরজা খুলেছিলেন ভবানীপুরের নিহত দম্পতি? সিসিটিভি ফুটেজে মিলল 'মুভমেন্ট'!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)