নিজস্ব প্রতিবেদন: যুবকটি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। একটু উদাসীন। নতুন জায়গায় চলে আসার একটা  আড়ষ্টতাও নিশ্চয়ই তাঁর শরীরীভাষায় ফুটে উঠেছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না হলে, পুলিস হঠাৎ তাঁকে খেয়ালই-বা করবে কেন? অবশ্য শুধু খেয়াল করাই নয়, যুবকটিকে থানায় এনে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে-বলতে তাঁর থেকে তাঁর বাড়ির ফোন নম্বর পেয়ে দ্রুত পুলিস ফোন করে দেয় তাঁর বাড়িতে। 


যুবকের বাড়ির লোক সেই ফোনে যেন হাতে চাঁদ পান। ক'দিন ধরেই তো তাঁদের বাড়ির ছেলেটি নিখোঁজ। ফলে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেন ফোনকলটুকু। তার পর তার সূত্রেই তাঁদের ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর পালা শুরু। 


আরও পড়ুন: পথে এবার নামো সাথী-র সেই স্পন্দন আবারও ভোটবাংলার সাংস্কৃতিক আবহে
  
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতাতেই। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। বারবার পুলিসের অমানবিক মুখ নিয়েই কথা হয় এ শহরে। কিন্তু তার মধ্যেই ধরা পড়ল ভিন্ন এই ছবি। গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা এই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারল পুলিস। 


কী ঘটেছিল?


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন (mentally challenged) যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখেন। সন্দেহ জাগলে পুলিসকর্মীরা তাঁকে থানায় নিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, যুবকের নাম মণীশ কুমার, বাড়ি ভাগলপুর। তাঁর বাড়ির লোকজনের ফোন নম্বরও তাঁর কাছ থেকে পায় পুলিস। দ্রুত তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। 


বুধবার সকালেই ভাগলপুর থেকে মণীশের বাড়ির লোকজন প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে এনএসসিবিআই থানায় উপস্থিত হন। তাঁদের আনা সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরই তাঁকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেয় পুলিস। 


পুলিসের এই ভূমিকায় অত্যন্ত খুশি ক'দিন নিখোঁজ থাকা ওই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ার বাড়ির লোকজন। থানা থেকে মণীশকে নিয়ে যাওয়ার আগে তাঁর বাড়ির তরফে মণীশের ভাই বলেন, মণীশ তিন চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল কলকাতার এই থানা থেকে ফোন করে আমাদের বলা হয়, দাদা এখানে আছেন। ওঁরা আমাদের চলে আসতে বলেন। আমরা এসে দাদাকে নিয়ে গেলাম। পুলিস খুবই সহযোগিতা করেছে আমাদের সঙ্গে।


আরও পড়ুন: ১৮ বছর বাড়েনি বেতন, অবস্থান বিক্ষোভে রাজ্য হাসপাতালের ERS কর্মীরা