নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরের বুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতুর একটা বড় অংশ। মঙ্গলবার মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে আতঙ্ক কলকাতার সর্বত্র। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, শহরের সেতুর ওপরে হোক বা নীচে, ইষ্টনাম জপতে জপতে পার হচ্ছেন সবাই। সেতুর করুণ দশার জন্য অনেকেই দুষছেন জবরদখলকে। সেতুর নীচে জবরদখলের জেরে সেতুর হাল খারাপ হচ্ছে বলে দাবি বিশেজ্ঞদের। বাদ নেই দক্ষিণ কলকাতার বিজন সেতুও। ৪০ বছরের পুরনো এই সেতু যেন এখনই বৃদ্ধ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার বিজন সেতুতে গিয়ে দেখা যায় দু'পারেই দখল হয়ে গিয়েছে সেতুর তলা। সেখানে রয়েছে জুতোর দোকান থেকে দাঁতের ডাক্তারের ক্লিনিক। এমনকী বহাল তবিয়তে চলছে WBTC-র একটি ক্যান্টিনও। ওপর দিয়ে অবাধে পারাপার করছে গাড়ি। গাড়ির চাপে থরথর করে কাঁপছে গোটা সেতু। 



স্থানীয় এক বৃদ্ধ বললেন, দীর্ঘ দিন ধরেই সেতুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সম্প্রতি রং হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু মেরামতি হয়নি। ভগবানের নাম জপতে জপতে সেতু পেরোতে হয়। 


সব দোষ সিপিএমের, মাঝেরহাটের পর ফাঁসিদেওয়াতেও শুরু দায় ঝাড়ার খেলা


একই অবস্থা সেতুর নীচের দোকানিদেরও। জবরদখলের দোকানে প্রাণ হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজনের কথায়, পেটের দায়ে দোকানে বসি। যাবটা কোথায়? সরকার পুনর্বাসন দিলে ভেবে দেখব। 


১৯৭৮ সালে বালিগঞ্জ স্টেশনের পাশে বিজন সেতুর উদ্বোধন করেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। ১৯৮২ সালে ওই সেতুর ওপরেই আনন্দমার্গীদের পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে বাম সরকারের বিরুদ্ধে। 


৪০ বছরের পুরনো সেই সেতুতে শুক্রবার গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়ছে ব্রিজের রেলিং। সেতুতে বিভিন্ন জায়গায় গজিয়েছে গাছ। শাখায়-প্রশাখায় শিকড়ে-বাকড়ে বিকশিত তারা। গাছের শিকড়ের চাপে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে সেতুর ফাটল। 


বিজন সেতু মেরামতির দায়িত্ব কেএমডিএ-র। চোখের সামনে সেতুর এই দশা দেখা গেলেও মেরামতির উদ্যোগ নেই কেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।