নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের জন্য লড়াই। সাম্যবাদের লড়াই। বহু মিছিলে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল। স্লোগান দিয়েছেন। আজ সেই বন্ধু আর নেই। মনে পড়ছে বন্ধুর সঙ্গে অসংখ্য, অজস্র স্মৃতি। অতীতের পাতা উল্টাতে উল্টাতে স্মৃতির সরণি বেয়ে বার বার যৌবনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিনগুলিতে ফিরে যাচ্ছেন বিমান বসু। প্রয়াত সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন লড়াই চালিয়ে শেষে আজ দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকে ভেঙে পড়েন বাম নেতারা। একে একে হাসপাতালে এসে জড়ো হন অনেকেই। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। ফলে সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতালের বাইরেই প্রয়াত নেতাকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানো হবে। দেহ রেখে দেবে হাসপাতাল। কোভিড গাইডলাইন মেনেই শেষকৃত্য হবে প্রয়াত নেতার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্যামল চক্রবর্তীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন হলেন বিমান বসু। বন্ধু বিয়োগে ভারাক্রান্ত, বিষণ্ণ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। কথায় কথায় বার বারই খালি ফিরে যাচ্ছেন অতীত দিনে। বললেন, "দমদম মতিঝিল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু। তারপর বিদ‍্যাসাগর কলেজ। ১৯৮১ সালে মানিকতলা উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন। পর পর তিনবার নির্বাচিত হন। প্রথম থেকেই ছাত্র, যুব, শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।"


বিমান বসুর কথায় উঠে এসেছে শ্যামল চক্রবর্তীর লড়াই, রাজনৈতিক জীবনের অনেক কথা-ই। বলেন, "অত‍্যন্ত দরিদ্রতার মধ‍্যে বড় হয়েছেন। সুবক্তা ছিলেন শ‍্যামল। সুলেখকও ছিলেন। আমি, দীনেশ মজুমদার, সুভাষ, শ‍্যামল খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। একে অপরকে সব শেয়ার করতাম। আমার মা ওকে খুব ভালবাসতেন। ওর চলে যাওয়া আমার ও আমাদের দলের ক্ষতি। ঊষসীর কম বয়সে মা চলে গিয়েছেন। ওর প্রতি সমবেদনা জানাই। ও থাকলে ভাল হত, কিন্তু চলে গেল। দলের বৃহত্তর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"


আরও পড়ুন, 'বিরোধী হলেও ওনার বক্তব্য শুনতাম...চরম ক্ষতি হয়ে গেল'