নিজস্ব প্রতিবেদন : বেপরোয়া বাস কেড়ে নিয়েছে বাড়ির তরতাজা ছেলেটাকে। শান্তিনগর বস্তিতে বিশ্বজিত্ ভুঁইঞার বাড়িতে এখন শুধুই বুকফাটা হাহাকার। শোকে পাথর হয়ে গেছে মা। ঘন ঘন মূর্চ্ছা যাচ্ছে বাবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বঙ্গবাসী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্তিনগরের বিশ্বজিত্। বাবা একটি সাইকেলের দোকান চালান। কাঁদতে কাঁদতে বিশ্বজিতের বাবা শুধু একটা কথাই বলে চলেছেন, "পুলিস দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুষ নেয়। আমার ছেলেটা চলে গেল।" মৃতের পরিবারের অভিযোগ, "বাস বিশ্বজিতদের ধাক্কা মারার পরেও দাঁড়ায়নি। বাস চালিয়ে দেয় চালক।" ঘটনাস্থলেই বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের। তাঁদের আক্ষেপ, বাসটি দাঁড়িয়ে গেলে তবু হয়তো প্রাণে বেঁচে যেত বাড়ির ছেলেটা।


শনিবার সকালে চিংড়িঘাটা মোড়ে সরকারি বাস পিষে দেয় ২ যুবককে। তারপরই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে চিংড়িঘাটা। পরের পর বাসে ভাঙচুর, আগুন, ইটবৃষ্টির সামনে কার্যত পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিস। ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। বার বার উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। কিন্তু ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করে।



স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় কোনও ফুটপাথ নেই। নেই কোনও নিরাপত্তা। চিংড়িঘাটা মোড়ে বাসগুলি খুব দ্রুতগতিতে ঘোরার জন্য মাঝে মধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় পথচলতি মানুষকে। কিন্তু পুলিসের কাছে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ দুর্ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা শান্তিনগর।


আরও পড়ুন,  বাসের রেষারেষিতে মৃত ২; আগুন, ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, রণক্ষেত্র চিংড়িঘাটা