নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জোড়াবাগান। অভিযোগ, বিজেপি যুব কর্মীদের উপর হামলা চালান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অভিযোগ করেন, 'বাংলায় গণতন্ত্র ধর্ষিতা হচ্ছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিবেকানন্দের জন্মতিথি উপলক্ষে কাঁথি থেকে কোচবিহার বাইক মিছিলের কর্মসূচি নেয় বিজেপি যুব মোর্চা। সেইমত বৃহস্পতিবার রাতে জোড়াবাগানের বিনানি ভবন গেস্টহাউসে এসে ওঠেন যুব মোর্চা কর্মীরা। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে মিছিল শুরুর আগেই বিনানি ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। যুব মোর্চা কর্মীদের গেস্টহাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাঁদের। করা হয় মারধর। এমনকি মারধরের পর বাইরে থেকে গেস্টহাউসের মধ্যে যুব মোর্চা কর্মীদের আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।


আরও পড়ুন, পোস্তায় গেস্টহাউসে ঢুকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


এরপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে দুপক্ষই ঝাঁপিয়ে পড়ে একে অপরের ওপর। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। ভাঙচুর চালানো হয় স্থানীয় দোকানেও। দুপক্ষের সংঘর্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী।


কিছু পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। অভিযোগ করেন, মিছিলের জন্য অনুমোদন পাওয়ার পরেও অরাজক পরিস্থিতির তৈরি করা হচ্ছে। যদিও হামলার ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতা নির্মল মাঝি। তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজার অভিযোগ, জোড়াবাগান এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে সাধন পাণ্ডে তোপ দাগেন, "মুকুল রায়ের কালচার অনেক নেমে গেছে।"