ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী রাজনীতির ব্যাটন হাতে নিতে মরিয়া বিজেপি। বাম-কংগ্রেসকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়।প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসতে হলে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে তাঁদের লাগাতার লড়াইয়ে থাকতে হবে। রাজনৈতিক মহল বলছে, সেই লড়াইয়ের বার্তা  মানুষের কাছে পৌছে দিতে এখন জোটের সাহায্য চাইছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিধায়ক। সোমবার বিধানসভায় শপথ নিয়েই আউট অফ দ্য বক্স দিলীপ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাম-কংগ্রেসকে 'আহ্বান'


হঠাত্‍ কেন একথা বলতে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি? রাজনৈতিক মহল বলছে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে আপাতত বাম-কংগ্রেসের সাহায্য পেলে তাঁর ক্ষতি নেই। কিন্তু রাজ্য বিজেপির আসল লক্ষ্য হল হাত-হাতুড়ি সরিয়ে দিয়ে বিরোধী রাজনীতির পরিসর দখল।


টার্গেট বিরোধী রাজনীতির দখল


পাহাড় বাদ দিলে প্রবল মোদী হাওয়ায় গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ভোট ছিল প্রায় চোদ্দো শতাংশ। এবার মিলেছে তিন বিধানসভা আসন। সঙ্গে দশ শতাংশের বেশি ভোট। ফলাফলে উজ্জীবিত রাজ্য বিজেপি এখন বঙ্গে মূল বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে। রাজনৈতিক মহলের মতে এই লক্ষ্য পূরণের জন্যই প্রকাশ্যে জোটের সমর্থন চেয়ে কৌশলী মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।



তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রতি কোনওভাবেই নরম মনোভাব যাতে না নেওয়া হয় সে জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চেয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। 


বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোটাররা। এইঅবস্থায় বিরোধী রাজনীতির পরিসর দখল করাই রাজ্য বিজেপির লক্ষ্য। শক্তিশালী তৃণমূলকে চেপে ধরতে বাম-কংগ্রেসের সাহায্য পেলে তাদের ক্ষতি নেই। কিন্তু, রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসতে চাইলে বাম-কংগ্রেসকে সরিয়েই তাদের এগোতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপির এই গেমপ্ল্যান বিরোধী জোটের নেতাদের অজানা নয়। ফলে, সবাই মিলে একসঙ্গে কোনও বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন এমনটা হতেই পারে। কিন্তু, বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে এক টেবিলে বসে বিজেপি তৃণমূলকে কোণঠাসা করার কৌশল তৈরি করছে, এমন ছবি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।