অঞ্জন রায় 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে অনুমোদন চাইল রাজ্য বিজেপি। ২৯ জানুয়ারি ও ৭ ফেব্রুয়ারি-দুটি তারিখে ব্রিগেড চেয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের জন্য সময় দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে রথযাত্রা মামলা আদালতে আটকে থাকায় বিকল্প হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি ধরে রাখছেন দিলীপ ঘোষরা। 


হাইকোর্টে রথযাত্রা মামলা ঝুলে থাকায় সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেই মামলায় জরুরি শুনানির আবেদন করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রথম থেকেই বিজেপির পরিকল্পনা ছিল, ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ৩টি রথকে ঘুরিয়ে আনা হবে ব্রিগেডে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের জন্য রথযাত্রা শুরুই করতে পারেনি বিজেপি। এমতাবস্থায় ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের আগে রথযাত্রা সম্পূর্ণ করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির ধারনা, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার রথ আটকানোর চেষ্টা চালাবে। সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। আবার সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি ফের হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিতে পারে। সবমিলিয়ে এক জটিল আবর্তে ফেঁসে রথযাত্রা। সেক্ষেত্রে ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় পেলেও দুটি তারিখ জানিয়ে সেনার কাছে ব্রিগে়ড চাওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন- মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে রাম মন্দির হবে, বললেন কপিল মুনি আশ্রমের প্রধান পুরোহিত


প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর রথযাত্রা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সব রিপোর্ট খতিয়ে না দেখে কী করে রায়?”  নির্দেশ দেন, এবার সব গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে।” এরপরই এই মামলা ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে ফেরত্ পাঠান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শনিবার রথযাত্রা করতে পারেনি বিজেপি। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। কিন্তু বিজেপির জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে গোটা বিষয়টি এখন ঝুলছে আদালতে।