একুশের প্রায়শ্চিত্ত কলকাতা পুরভোটে! আদি-র গুরুত্ব BJP-র প্রার্থী তালিকায়
সোমবার কলকাতা পুরনির্বাচনের ১৪৪ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবার শেষে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। সেভাবে নেই কোনও বড় চমক। তালিকায় নেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা কোনও তারকা-নেতার নামও। প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ আর পুরনোদেরই গুরুত্ব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাহলে কি বিধানসভা থেকে শিক্ষা? ঘুরিয়ে একুশের ভুল নীতির প্রায়শ্চিত্ত?
প্রথমে বাম, তারপর তৃণমূল ও কংগ্রেস। সবশেষে বিজেপি। সোমবার কলকাতা পুরনির্বাচনের ১৪৪ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। পদ্ম শিবিরে আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব চলছেই। একুশের বিধানসভায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা বহু নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগই হেরে গিয়েছেন। যাঁরা জিতেছেন, তাঁদেরও অনেকে ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। রাজ্য রাজনীতির গুঞ্জন, আরও অনেকে নাকি ঘর ওয়াপসির অপেক্ষায়। স্বাভাবিকভাবেই ঘরে-বাইরে মুখ পুড়েছে বিজেপির। দলের নীতিতেই নষ্ট হল বাংলা দখলের স্বপ্ন - এমন কটাক্ষও শুনতে হয়েছে নেতৃত্বকে। এই পরিস্থিতিতে পুর-তালিকায় পুরনো মুখেদের গুরুত্ব দিল গেরুয়া শিবির। একই সঙ্গে, প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব দেওয়া হল মহিলা ও যুবদের। একুশের বিধানসভা ভোটে যেমনটা দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। সবমিলিয়ে, তরুণ মুখ ৪৫, মহিলা প্রার্থী ৫০, আইনজীবী প্রার্থী ৫, চিকিৎসক ৩ এবং শিক্ষক ৪ জন।
১০২ নম্বর ওয়ার্ডে রিঙ্কু নস্করকে প্রার্থী করা হল না। বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসেন রিঙ্কু। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন মীনাদেবী পুরোহিত। জিতলে টানা ৬ বার কাউন্সিলার হবেন তিনি। ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী সুনীতা ঝাওয়ার। ৫ বারের কাউন্সিলার সুনীতা। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে সজল ঘোষকে। তালিকায় সজল ঘোষের নাম নি:সন্দেহে চমক। তিনিও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে। কিন্তু ভোটে ভরাডুবির পরেও, গত অগাস্টে মুচিপাড়ায়, একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে একাই পুলিস-প্রশাসনের সম্মুখসমরে নেমেছিলেন সজল। অনেকের মতে, সেই কারণেই প্রদীপ ঘোষের ছেলের উপর আস্থা রাখল দল।
বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় ছিল একের পর এক চমক। চমকের পেয়ালায় গরমাগরম শিরোনাম হিসেবে আছড়ে পড়েছিল একের পর এক তারকার নাম- রাজীব থেকে সব্যসাচী ,রবীন্দ্রনাথ থেকে জিতেন, জটু লাহিড়ী, প্রবীর ঘোষাল থেকে বৈশালী ডালমিয়া।
পচা শামুকে পা কেটেছে, উড়ে এসে জুড়ে বসাদের গুরুত্ব দিয়ে ভরাডুবি হয়েছে, ঘরে বাইরে এমন হরেক সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। ২০০ আসনের স্বপ্ন চুরমার হয়েছে, ৭৭-ই থমকেছে বিধায়ক সংখ্যা। সেটাও এখন ঘরওয়াপসির জেরে ৭০-র ঘরে। কেউ উচ্চস্বরে, কেউ সংযম রেখে, প্রকাশ্যে বলেছেন তথাগত থেকে অনুপমরা। ক্ষোভ উগরেছেন সৌমিত্র খাঁর মতো নেতারাও। অনেকের মতে, বিজেপি যখন ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিনই বিজেপির আর এক তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী যোগ দিলেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন- TMC : লক্ষ্য ২০২৪; রদবদল দলীয় সংবিধানে, সর্বভারতীয় স্তরে শক্তিবৃদ্ধিতে জোর তৃণমূল ওয়ার্কিং কমিটির
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)