নিজস্ব প্রতিবেদন : সেনাবাহিনী নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এবার রণনীতি নির্ধারণ করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই আগামী ১ অক্টোবর দিল্লিতে পশ্চিবঙ্গ নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। একইসঙ্গে ১ তারিখের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই বৈঠকেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রণনীতির রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে সম্পাদক এবং সহ সভাপতিরা কোন রাজ্যের দায়িত্বে থাকবেন, তা ঠিক করে দেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি। সহ সভাপতি হিসেবে মুকুল রায় নতুন মুখ। তাঁকে কোন রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। যদি পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে যেতে চাইছে। আর যদি তা না করে অন্য রাজ্যে মুকুল রায়কে পাঠানো হয়, তাহলে বুঝতে হবে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে মমতার বিরুদ্ধে কতটা লড়াইয়ে প্রস্তুত বিজেপি? উল্লেখ্য়, এই মুহূর্তে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ- এই ৩ জন কেন্দীয় নেতা এই রাজ্যের দায়িত্বে আছেন। 


বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ের টার্গেট বিজেপির। লোকসভা ভোটে বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পর পাখির চোখ এখন বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক মহলের মতে সেই লক্ষ্যেই বিজেপিতে কেন্দ্রীয় স্তরে আনা হয়েছে ব্যাপক রদবদল। সাংগঠনিক পদবিন্যাসে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে মুকুল রায়কে। এর পাশাপাশি সর্বভারতীয় সম্পাদক করা হয়েছে অনুপম হাজরাকে। অন্যদিকে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাকে করা হয়েছে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র।


একুশে বিধানসভা ভোট জয়ের লক্ষ্যপূরণ করতেই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেবেচিন্তে এভাবে ঘুঁটি সাজিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। যদিও নয়া দায়িত্ব বণ্টনের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বারুইপুরে অনুপম হাজরাকে ঘিরে হয়েছে বিক্ষোভ। এখন এই পরিস্থিতিতে দু'দিন বাদে, ১ তারিখের বৈঠক থেকে রাজ্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জে পি নাড্ডা কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন, রাজ্য প্রশাসনে সচিব স্তরে একগুচ্ছ বদল, কে পেলেন কোন দফতরের দায়িত্ব?