অঞ্জন রায় 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রথযাত্রা নিয়ে জটিলতা কাটাতে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বৈঠক যাওয়ার কথা ছিল কথা ছিল প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার ও মুকুল রায়ের। কিন্তু বৈঠকের আগে প্রতাপ ও জয়প্রকাশের জায়গায় দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম প্রস্তাব করল রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই ফ্যাক্স মারফত ওই দুই নেতার নাম পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বার্তা আসেনি। 


এদিন সকাল পর্যন্তও ঠিক ছিল প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। কিন্তু হঠাত্ করে এই বদল কেন? প্রতাপ ও জয়প্রকাশের জায়গায় দিলীপ ও কৈলাসের নাম কেন পাঠানো হল? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনা হল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি আগে থেকেই চূড়ান্ত ছিল। গতকাল অর্থাত্ বুধবার রাজ্য বিজেপির দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সাড়ে পাঁচটায় লালবাজারে বৈঠকের কথা বলা হয়। ফলে এদিন যে বৈঠক হতে চলেছে, সে ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই জানত বিজেপি। শেষ মুহূর্তে কেন এই পরিবর্তন করা হল? এর পিছনে কি রয়েছে দলের অন্দরে সমঝোতার অঙ্ক। বিশেষত মুকুল রায় বৈঠকে থাকছেন অথচ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নেই কেন? সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। অনেকেই বলছেন, রথ গড়াবার আগেই রাজ্য বিজেপির অন্দরের ছবি আরও একবার চলে এল প্রকাশ্যে। 


গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এখন শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে চলছে মল্লযুদ্ধে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ধাক্কা খায় বিজেপি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় তারা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তি দেয় বিজেপিকে। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রথযাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির তরফে যে তিন জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন অর্থাত্ মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে আপত্তি ছিল রাজ্যের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব।


সেই যুক্তি উড়িয়ে দেয় আদালত। স্পষ্ট জানায়, অপরাধ প্রমাণ না হলে অপরাধী নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকে বসার সময় দেওয়া হয়। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপিকে বৈঠকে ডাকল লালবাজার। 


বৈঠক যে হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সোমবার নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডিজি। কনফারেন্স কলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট জের পুলিস সুপাররা। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু ও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা দিয়েও রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এনিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দেবেন পুলিস কর্তারা। 


আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে অভিশপ্ত ৪,৩৩৭টি ভোট সরিয়ে দিল বিজেপিকে